নিজস্ব প্রতিবেদন : নদীয়ার চাকদায় ছাত্রী খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী বর্ষা দাসকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল কিশোরীর জামাইবাবু তারক ঘোষকে। গ্রেফতার করা হয়েছে জামাইবাবুর এক সহযোগীকেও। খুনের ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, প্রথমে প্রেম, শারীরিক সম্পর্ক! তারপর অপহরণ করে ৩ দিন ধরে কিশোরীকে ধর্ষণ যুবকের


চাকদার মদনপুরের আলাইপুরের বাসিন্দা ছিল বর্ষা। শুক্রবার বিকেলে মদনপুরে প্রাইভেট টিউশন পড়তে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় বর্ষা। ৩ দিন নিখোঁজ ছিল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।  তারপর সোমবার দুপুরে চাকদার কামালপুর এলাকায় একটি পরিত্যক্ত জলাশয় থেকে বর্ষার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মেলে। পুলিস জানায়, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বর্ষাকে।


আরও পড়ুন, এম.এ পাস করে রাজমিস্ত্রির কাজে কেরালা পাড়ি, ঘরে ফিরছে নিথর দেহ


খুনের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে সন্দেহ ও অভিযোগের তির গিয়ে পড়ে পড়শি যুবক অজয় দাস ওরফে ছোটনের দিকে। বর্ষার বাড়ির লোক অভিযোগ করে, পড়শি যুবক অজয় তাঁদের মেয়েকে উত্যক্ত করত। নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিত। বিভিন্নভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা করত।


আরও পড়ুন, গাছের গুঁড়িতে 'হেলান দিয়ে বসে' নগ্ন শরীরটা! কাছে যেতেই চমকে উঠল এলাকাবাসী


বর্ষার বাড়ির লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে অজয়কে গ্রেফতার করে পুলিস। কিন্তু তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস বুঝতে পারে, বর্ষাকে উত্যক্ত করলেও খুনের পিছনে অজয়ের হাত নেই। এরপরই অন্যদিকে মোড় নেয় ঘটনা। শ্যালিকা বর্ষাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় জামাইবাবু তারক ঘোষকে। বর্ষার মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও মেসেজ চেক করে পুলিস জানতে পারে, পড়তে যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে জামাইবাবুর সঙ্গে দেখা করতে যায় বর্ষা। তারপরই তারক ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিস।


আরও পড়ুন, বোলেরোর ভিতর তল্লাশি চালাতেই চক্ষু চড়কগাছ, উদ্ধার ৬০ লাখি লেপার্ড গোকো


 

তবে, জামাইবাবু তারক ঘোষ কেন বর্ষাকে খুন করেছে, এ সম্বন্ধে নিশ্চিত করে এখনও কিছু জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে অনুমান, জামাইবাবুর সঙ্গেই গোপন সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল শালির। তারক ঘোষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী বর্ষা। তাই প্রমাণ লোপাট করতেই গলা টিপে খুন করা হয়েছে তাকে। পুলিস ধৃতদের জেরা করে খুনের কারণ অনুসন্ধান করছে।