নিজস্ব প্রতিবেদন: বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে পর্যবেক্ষণ করে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় দল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের একটা টাকাও মেলেনি বলে দাবি রাজ্য সরকারের। সে কারণে ৬ জেলার কৃষকদের সাহায্য করতে ১,৩৮৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করল ররাজ্যের অর্থ দফতর।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২৮ নভেম্বর থেকে ৬ জেলায় শিবির করে শুরু হয়েছে চেক বিলি। এখনও পর্যন্ত ৪ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৪২ জন কৃষককে দেওয়া হয়েছে ১৪৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য। এর পাশাপাশি আরও ৬ লক্ষ কৃষককে দেওয়ার জন্য প্রায় ২২০ কোটি টাকার চেক প্রস্তুত করেছে নবান্ন।


ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বিধ্বস্তদের সাহায্যার্থে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেছিলেন, "বুলবুল নিয়ে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের কাছ থেকে কোনওরকম কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি।'' মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগের পরই এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে লিখিত জবাবে জানান, ২০১৯-২০ সালে ৪১৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে। পশ্চিমবঙ্গের আপৎকালীন মোকাবিলায় যে তহবিল রয়েছে, সেই তহবিলে কেন্দ্রের যে অংশিদারিত্ব রয়েছে, তাতেই দেওয়া হয়েছে ওই টাকা। সেই দাবি খারিজ করে নবান্ন। 



বলে রাখি, বুলবুলের জেরে ২৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি ক্ষতিপূরণ দাবি করে নয়াদিল্লিকে রিপোর্ট পাঠিয়েছিল রাজ্য। বলা হয়েছিল, বুলবুলে ২৩ হাজার ৮১১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ৫৯৭ কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বিদ্যুতে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৩৫ লক্ষ মানুষ। ৫ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৩৫টি বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা নামখানা ও পাথরপ্রতিমার বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকায় ঘুরে দেখে গিয়েছেন ৯ জনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।  


আরও পড়ুন- যোগীর পুলিসকে ধোঁকা দিয়ে দলীয় কর্মীর স্কুটারেই দারাপুরির বাড়িতে প্রিয়াঙ্কা