নিজস্ব প্রতিবেদন: বেআইনিভাবে হাতুড়ের কাছে গর্ভপাত করাতে গিয়ে মৃত্যু হল কিশোরীর। ঘটনা দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরের। জামাইবাবুর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের জেরে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঘটনার পর থেকে পলাতক হাতুড়ে। সেই হাতুড়ে আবার বুনিয়াদপুর পুরসভারই কাউন্সিলর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, জামাইবাবুর সাথে শারীরিক সম্পর্কের জেরে গর্ভবতী হয় ১৪ বছরের ওই কিশোরী। সাত মাসের গর্ভবতী ছিল সে। শুক্রবার খোকন বিশ্বাস নামে এক হাতুড়ের কাছে গর্ভপাত করাতে আসে কিশোরী। গর্ভপাত করানোর সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে পুলিস পৌঁছে কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে। 


মৃত কিশোরী বংশীহারি থানা এলাকার জামাল মোড়ের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সিহল হাই স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ত সে। সম্প্রতি তার গর্ভবতী হওয়ার কথা জানতে পারে বাড়ির লোক। শুক্রবার সন্ধ্যায় বুনিয়াদপুরের হাতুড়ে খোকন বিশ্বাসের পলি ক্লিনিকে তাকে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। সেখানে গর্ভপাতের সময় মৃত্যু হয় কিশোরীর। হাতুড়ে খোকন বিশ্বাস বুনিয়াদপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তার বিরুদ্ধে এর আগেও বেআইনি গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠেছে। এমনকী, ওই পলিক্লিনিকে গর্ভপাত করানোর সময় মৃত্যুও হয়েছে বেশ কয়েকজন তরুণীর। ঘটনার পর থেকে পলাতক খোকন। অভিযুক্ত হাতুড়ের শাস্তি চাইছে পরিবার। 


যাত্রী বিক্ষোভে রণক্ষেত্র সোদপুর, শিয়ালদা মেইনে ব্যাহত ট্রেন পরিষেবা


রাতে পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয়েছে কিশোরীর। চিকিত্সকরা বলছেন, সামাজিক লাঞ্ছনার ভয়ে ও সচেতনতার অভাবে হাতুড়েকে দিয়ে গর্ভপাত করাতে গিয়ে গোটা দেশেই মৃত্যু হয় বহু তরুণীর। এই ধরণের মৃত্যু রুখতে সমাজসেবী সংগঠন ও পুলিসের আরও সক্রিয় হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।