নিজস্ব প্রতিবেদন:  শেষ পর্যন্ত ডিভিসির সেচখাল গুলিতে জল ছাড়া হয়েছে বটে কিন্তু তাতে শস্যগোলা পূর্ববর্ধমানের কৃষকদের সংকট থেকে মুক্তি নাই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একে তো আমন ধানে জলের সংকট ভয়াবহ। তার উপর গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মত ধানের জমিতে রোগ পোকার আক্রমণ। জলের অভাব ও পোকার  জোড়া আক্রমণে জেরবার চাষিরা।গত বুধবার বর্ধমানের  বিডিএ হলে( বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা) রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টার পৌরহিত্যে সেচের জলের সংকট মোচনে জরুরি বৈঠক হয়।ওই বৈঠকে জেলা ও ব্লক প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংসদ ও বিধায়করা।


আরও পড়ুন: স্ত্রী এসেছিলেন দেখা করতে, তারপরই কোয়ার্টারে যে অবস্থায় পুলিসকর্তা দেখলেন প্রতিবেশীরা


বৈঠক শেষে ঘোষণা করা হয় তিন দিন জল ছাড়া হবে। ডিভিসি মোট ৪০ হাজার একর ফিট জল ছাড়বে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার জানান, বর্ষায় বৃষ্টির পরিমাণ কম হওয়ায় ডিভিসির জলাধারগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল নেই। জল নেই ঝাড়খণ্ড ও বিহারের জলাধারগুলিতেও। ফলে রাজ্য সরকার চাইলেও  ভিন রাজ্য থেকে জল কিনতে পারছে না।


শনিবার থেকে জেলার আউশগ্রাম, ভাতার,গলসি,খণ্ডঘোষ, মঙ্গলকোটের ডিভিসির সেচখাল গুলিতে জল পৌঁছেছে। কিন্তু সমস্যা সেই তিমিরেই। কারণ সেচখালগুলিতে বয়ে যাওয়া জলের উচ্চতা না বাড়ায় সব এলাকায় জল মাঠে যাচ্ছে না।তাছাড়া সেচখালের পাশের জমিতে জল গেলেও দূরের জমিতে জল পৌঁছানোর কোন লক্ষণ নেই। ফলে ধানের জমির অবস্থা আরও জটিল হচ্ছে


আরও পড়ুন: তিন ছেলের বিয়ে দিয়েছেন, ঘরে নাতি রয়েছে, তবুও স্ত্রীকে নিয়ে সন্দেহ করতেন স্বামী! পরিণতি


।ফুটিফাটা জমিতে ধান শুকিয়ে যাচ্ছে।এমনিতেই এই সময়ে আমনের জমিতে বেশি জলের প্রয়োজন। জলের অভাবে ফুল ঝড়ে যাচ্ছে। শস্যগোলার চাষিদের এখন মাথায় হাত। সরকারির পাশাপাশি অনেক চাষিই বেসরকারি ঋণ নিয়েছেন। এখন ধান না হলে ঋণ শোধ কী করেই বা হবে! আর সারা বছরই বা কী করে সংসার চলবে।  


মাঠে জল নেই। খটখটে শুকনো ধানের জমিতে উপযুক্ত পরিবেশ পেয়ে রোগ পোকার বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে। পোকার আক্রমণ ঠেকাতে চাষিরা জমিতে কীটনাশক স্প্রে করেও তা আটকাতে পারছেন না। সব নিয়ে  চরম সঙ্কটে চাষিরা।