নিজস্ব প্রতিবেদন: পঞ্চায়েত মামলা আর দীর্ঘায়িত করতে চাইছে না আদালত। বামেদের ই-মেলে মনোনয়ন জমার আর্জি খারিজ করে বুঝিয়ে দিলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। তবে নিরাপত্তা নিয়ে আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণ করেছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার শুনানির শুরুতেই বিচারপতি সুব্রত তালুকদার হালকা ছলে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, "পঞ্চায়েত মামলা আর কতদিন চলবে?" আইনজ্ঞরা বলছেন, আদালত যে আর মামলাদীর্ঘায়িত করতে চায় না, তা বিচারপতির এই মন্তব্যেই স্পষ্ট।


এদিন, সিপিএমের মামলায় বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে অভিযোগ করেন, সোমবার মনোনয়নের বর্ধিত দিনে চরম নৈরাজ্য তৈরি হয়। তিনি আর্জি জানান, ই-মেলে পাঠানো তাঁদের মনোনয়ন গ্রহণের নির্দেশ দিক আদালত। ভাঙড়ের ন-জন প্রার্থীর হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো মনোনয়নের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন বিকাশ। জবাবে কমিশন সচিব জানান, আইনে এরকম কোনও সংস্থান নেই। ভাঙড়ের প্রার্থীদের হোয়াটসঅ্যাপে মনোননয়ন বিশেষ ঘটনা বলে জানিয়ে বিকাশের আর্জি খারিজ করেন বিচারপতি। আরও পড়ুন- ই-মনোনয়নের আর্জি নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যেতে পারে সিপিএম


আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও সোমবার মনোনয়নের বর্ধিত দিনে পুলিস-কমিশন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে সওয়ালে জানান বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, এটা আদালত অবমাননা। এই মামলা গ্রহণ করে বিচারপতি নির্দেশ দেন, জুন মাসের প্রথম সোমবার এ বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং পুলিসের ডিজি-কে হলফনামা দিতে হবে।


মঙ্গলবার আদালত কমিশনকে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলে নিরাপত্তা নিয়ে তাদের অভিযোগগুলি শুনতে নির্দেশ দিয়েছে। ভোটের প্রতি পর্যায়ে কত নিরাপত্তারক্ষী প্রয়োজন তার হিসাব হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পেশ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে কমিশনকে। ডিভিশন বেঞ্চের অনুমোদন মিললে তবেই তা চূড়ান্ত হবে বলেও স্পষ্ট করা হয়েছে। এদিন আরও বলা হয়, রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে ফলপ্রসু আলোচনায় কমিশনকে সব অভিযোগের নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করতে হবে।


ফলে, ভোটে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধীরা সন্তুষ্ট না হলে আদালতের দরজা তাদের কাছে খোলাই রয়েছে। আর সেক্ষেত্রে ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভাগ্যে নেমে আসতে পারে অনিশ্চয়তা।