নিজস্ব প্রতিবেদন:  'এতদিন কি প্রশাসন ঘুমোচ্ছিল? মামলা দায়ের হয়েছে বলে জেগে উঠেছে'?  মালদহে বন্যাত্রাণে দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ,' ২০১৯ সালে যদি পদক্ষেপ করা হত, তাহলে তো এই মামলাই হত না। তখন জেগে ওঠেনি কেন? এই মামলা যদি না হত, এতদিনে বিষয়টি হিমঘরে চলে যেত'।  ১১ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৭ সালে। সেবার বন্যা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় মালদহে। রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল,  বন্যায় যাঁদের বাড়ি পুরোপুরি ধুয়ে গিয়েছে, তাঁদের ৭০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এমনকী, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির জন্য ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। তাহলে? হরিশ্চন্দ্রপুরের ১ ব্লকের বড়ই পঞ্চায়েত এলাকায় বন্যাত্রাণে দুর্নীতির অভিযোগ মামলা দায়ের করা হয়েছে হাইকোর্টে। আদালতে রীতিমতো নথি দেখিয়ে মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তীর অভিযোগ করেছেন, বহু লোকের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ২ বার, এমনকী ৩-৪ বারও ক্ষতিপূরণের টাকা ঢুকেছে।


আরও পড়ুন: Coal Scam: কয়লাকাণ্ডে লালার ৪ সহযোগীর সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ আসানসোল আদালতের


কীভাবে এমনটা হল? মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্য, স্থানীয় বড়ই পঞ্চায়েত ও হরিশ্চন্দ্রপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। রাজ্য সরকারও দুর্নীতির অভিযোগ মেনে নিয়েছে। অভিযুক্তদের কিন্তু গ্রেফতার করা হয়নি। এদিন শুনানিতে যখন সিবিআই তদন্তের দাবি তোলেন, তখন সহমত পোষণ করে খোদ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলও। দু'পক্ষের সওয়াল-জবাব  শোনেন হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। স্রেফ তীব্র ভর্ৎসনা করাই নয়, পরবর্তী শুনানিতে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, রাজ্যকে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। 


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)