নিজস্ব প্রতিবেদন: কোভিড সংক্রমণে বাকি রোগ ব্যাকফুটে। সামান্য চিকিত্সা পরিষেবা পেতেও কালঘাম ছুটছে। সবচেয়ে আতান্তরে পড়েছেন ক্যানসারের সঙ্গে যুঝে চলা রোগীরা। পরিসংখ্যান বলছে, করোনা আবহে তাঁরাই সবচেয়ে বেশি চিকিত্সা সঙ্কটে। বেশকয়েকটি হাসপাতাল ইতিমধ্যেই কোভিড স্পেশাল বলে চিহ্নিত। সেখানে ক্যানসার রোগীদের চিকিত্সা পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ।  যেমন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। বাকি জায়গাগুলিতেই বা  পরিষেবা মিলছে কই?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে প্রতিদিন গড়ে ১৫জন রোগীর কেমোথেরাপি  করা হত, রেডিয়েশন নিতেন ৭০জন। এখন পুরোপুরি বন্ধ। অন্যদিকে, SSKM হাসপাতাল রোজ গড়ে ৩০জনের কেমোথেরাপি হত। এখন সংখ্যাটা ১০-১৫। রেডিওথেরাপি ১৪০-২০০ জনের বদলে নেমে এসেছে ৫০-৭০জন-এ।


RG কর বা এনআরএসেও ছবিটা একইরকম।  শুধু হাসপাতালে পরিষেবা কম পাচ্ছেন এমনটা নয়। রোগীদের আরও অনেক জটিলতার মুখে পড়তে হচ্ছে। কেমো বা রেডিয়েশন নিচ্ছেন, এমন বহু রোগী জেলার। লকডাউনে শহরে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। রেড জোনে বাড়ি হওয়ায় গাড়ি জোগাড় করে উঠতে পারেননি অনেকে। মফস্বল বা গ্রাম থেকে কলকাতায় চিকিত্সা করাতে এলে প্রতিবেশীদের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। সামাজিক এইসব বাধা বিপত্তির বাইরেও, চিকিত্সার পদ্ধতিগত সমস্যাও কম নয়।


সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে সরকারি হাসপাতালগুলিতে রেডিয়েশন-কেমোর বেড কমাতে হয়েছে। বহু টেকনিক্যাল স্টাফকে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। ফলে যাঁরা পরিষেবা দিতেন সংখ্যাটা এখন তার এক তৃতীয়াংশ। কেমো-রেডিয়েশন রোগীকে খুব কাছ থেকে দিতে হয়। সংক্রমণ এড়াতে দূরত্ব রাখা হচ্ছে, সময় ব্যয় হচ্ছে বেশি।কমসংখ্যক রোগী পরিষেবা পাচ্ছেন


সরকারি -বেসরকারি সব ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচার হওয়া রোগী কিংবা শিশুদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।ফলে বাকিরা বঞ্চিত হচ্ছেন। পিপিই পরে কেমো বা রেডিয়েশন দেওয়া মুশকিল। বহু ক্ষেত্রে নানা অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে। সামাজিক আর পদ্ধতিগত, দু-ধরনের সমস্যার সাঁড়াশি চাপে কার্যত দিশেহারা মারণ ক্যানসারে আক্রান্ত হাজার হাজার রোগী।