নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিবেশীকে বিশ্বাস করে পাচারকারীর খপ্পরে নাবালিকা। মুম্বই-এর নিষিদ্ধপল্লি থেকে উদ্ধার করা হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের বাসিন্দা ওই নাবালিকাকে। উদ্ধারের পর বছর চোদ্দোর ওই কিশোরীকে বর্তমানে হোমে রাখা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ক্যানিংয়ের রেঁদোখালি গ্রামের বাসিন্দা ওই নাবালিকা এক মাস আগে নিখোঁজ হয়ে যায়। প্রতিদিনের মতো সেদিনও সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরয় ওই নাবালিকা। মা কে বলে যায়, 'মা স্কুলে যাচ্ছি।' কিন্তু তারপর বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা, রাত হয়ে যায়। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেনি  ওই কিশোরী।


আরও পড়ুন, নাতির ভালো চেয়েছিল ঠাকুমা, থান ইট মেরে মাথা ফাটাল ছেলে!  


ছাত্রীর দিদি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ক্যানিং থানায় মিসিং ডায়রি করা হয়। বোনের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় বিস্তর খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু ওই নাবালিকার কোনও খোঁজ মেলেনি। বোনের কোনও খবর-ই পাওয়া যায়নি। এরপরই প্রায় এক মাসের মাথায় বাড়িতে একটা ফোন আসে। সেই ফোন ধরেই চমকে ওঠেন ওই নাবালিকার বাড়ি লোক। জানতে পারেন, বর্তমানে মুম্বইতে রয়েছে ওই নাবালিকা। প্রতিবেশী আনার সর্দার তাঁকে মুম্বইয়ের নিষিদ্ধ পল্লিতে বিক্রি করে দিয়েছে।


আরও পড়ুন, কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় গৃহবধূকে পুড়িয়ে খুন স্বামীর


ফোনে ওই কিশোরী জানায়, সেদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে রাস্তায় তার সঙ্গে দেখা হয় প্রতিবেশী আনার সর্দারের। আনার সর্দার তাকে বলে, "তোমার মা ওখানে দাঁড়িয়ে আছে।" প্রতিবেশী আনার সর্দারকে বিশ্বাস করে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই ফাঁদ পা দেয় সে। তাকে অপহরণ করে মুম্বইতে পাচার করে দেয়। সেখানে নিষিদ্ধপল্লিতে ১ লাখ টাকায় ওই নাবালিকাকে বিক্রি করে দেয় অভিযুক্ত আনার সর্দার।


আরও পড়ুন,একটা 'হাল্কা শব্দ' ভেসে আসছে, ঘরে পা দিয়েই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন গৃহকর্ত্রী


ফোনের সূত্র ধরেই তারপর মুম্বইয়ের নিষিদ্ধপল্লি থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে ক্যানিং থানার পুলিস। ঘটনা জানাজানি হতেই পলাতক অভিযুক্ত আনার সর্দার। তার খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদের খোঁজেও শুরু হয়েছে তল্লাশি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিস।