জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পুজোর মুখে ফের বন্ধ হয়ে গেল চা-বাগান। শ্রমিক অসন্তোষের জেরে গতকাল, মঙ্গলবার রাতে মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটা ব্লকের ক্যারন চা-বাগান বন্ধ করে চলে গেল চা-বাগান কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় বিপাকে পড়ে গিয়েছেন ওই চা-বাগানের ৭১৫ জন শ্রমিক। জানা গিয়েছে, ১৯ শতাংশ বোনাস, এরিয়ারের টাকা, পিএফের টাকা জমা দেওয়া-সহ নানা দাবিতে চা-বাগানের কাজ বন্ধ করে দিয়ে ক্যারন চা-বাগানের ফ্যাক্টরি গেটের সামনে ব্যপক বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকেরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Malbazar: পুজোর মুখে বন্ধ হয়ে গেল চা-বাগান, কর্মহীন ১২০০ শ্রমিক...


সকাল দশটা থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে বিকেল চারটায় শেষ হয়েছে।  শ্রমিকদের অভিযোগ, মালিকপক্ষ ১০ শতাংশ বোনাস দিতে চাইছে যেটা আমরা মানব না। দুই বছরের এরিয়ারের টাকা বাকি হয়ে রয়েছে। পিএফের টাকা তো জমাই করছে না মালিকপক্ষ। এত কিছু না দেওয়ার পরও বোনাস ১০ শতাংশ দিতে চাইছে। এ কারণেই এই বিক্ষোভ চলছে। দাবি না মেটা পর্যন্ত চা-বাগানের কাজ বন্ধ রেখেই আন্দোলন চলবে বলে জানিয়ে দেন শ্রমিকেরা। এর পরই রাতে চা-বাগান ছেড়ে চলে যায় মালিকপক্ষ। নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুজুর বলেন, শুনেছি ওই চা-বাগান বন্ধ করে চলে গিয়েছে মালিকপক্ষ। আমরা আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করব।


পুজোর মুখে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সামসিং চা-বাগানও। আর্থিক অনটনের জন্য বাগান বন্ধ করার নোটিস দিয়েছে মালিকপক্ষ। ফলে, কর্মহীন হয়ে পড়লেন বাগানের প্রায় ১২০০ শ্রমিক। মঙ্গলবার সকালে বাগান বন্ধের নোটিস জানতে পারেন শ্রমিকরা। পুজোর মুখে চা-বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত শ্রমিকদের। লক আউট নোটিসে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন থেকে এই চা-বাগান আর্থিক সংকটে রয়েছে। কিন্তু ইদানীং সমস্যা যেন আরও বাড়ছে এই চা-বাগানে। এর পরেও বাগান শ্রমিকদের মজুরি-সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে আসছেন কর্তৃপক্ষ। শেষমেষ কোনও উপায় না থাকায় বাগান বন্ধ করতে বাধ্য হন তাঁরা। 


আরও পড়ুন: Durga Puja 2023: কৃষ্ণসায়রের জল নিয়ে শুরু হয়ে গেল রাঢ়জননী সর্বমঙ্গলার পুজো...


এদিকে, সোমবার খুলেছিল নাগরাকাটা ব্লকের  নয়া সাইলি চা-বাগান, আর মঙ্গলবার খুলে গেল মাল ব্লকের সাইলি চা-বাগান। স্বস্তি এই বাগানের চা-শ্রমিকদের মধ্যে। সাইলি চা-বাগান কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকেরা। পুজার বোনাস নিয়ে আলোচনা চলাকালীন হঠাৎই গত শুক্রবার সাইলি চা-বাগান কর্তৃপক্ষ ওয়ার্ক সাসপেনশন ঘোষণা করে চা-বাগান ছেড়ে চলে যান। অথই জলে পড়েন চা-বাগানের কর্মরত প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক-কর্মচারী। বাগান খোলার দাবি নিয়ে শ্রমিকরা সোচ্চার হন। শ্রম দফতর তৎপরতা শুরু করে। গত শনিবার মালের সহকারী শ্রম আধিকারিক প্রণবকুমার দাস সাইলি ও নয়াসাইলি চা-বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। সোমবার নয়া সাইলি চা-বাগানের মীমাংসা হয়। বাগান খুলে যায়।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)