জ্যোতির্ময় কর্মকার: দিল্লিতে ইডির দফতরে ফের হাজিরা কেষ্ট-কন্যার। গতকাল দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সুকন্যা মণ্ডলকে। কিন্তু গতকালকে সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদে সন্তুষ্ট নয় ইডি। সূত্রের খবর এমনটাই। তাই আজ আবারও তলব। ইডি সূত্রে খবর, গতকাল বেশিরভাগ প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি কেষ্ট-কন্যা। তাঁর বিপুল সম্পত্তি ও অ্যাকাউন্টে বিপুল অর্থের উৎস কী? একজন সরকারি শিক্ষিকা হয়ে বিপুল ব্যাংক ব্যালেন্স, রাইস মিল ও জমির মালিক কী করে? এইসব প্রশ্নের কোনও সদুত্তর মেলেনি। সুকন্যাকে জেরা করে এইসব প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছে ইজি। তাই আজ ফের হাজিরার জন্য তলব করা হয় তাঁকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে শুধু একা সুকন্যা নন, ইডির দফতরে আজ কেষ্টর চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টও। হাজিরা দিয়েছেন অ্য়াকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারি। পাশাপাশি, ইডি দফতরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ চাল ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যও। মোট ৩ জন আজ দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছেন। ৩ জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রসঙ্গত, মণীশ কোঠারিকেও গতকাল তলব করা হয়েছিল। এরপর আজ ফের তলব করা হয়। কারণ, অনুব্রত মণ্ডলের নামে যে আয়কর রিটার্ন ফাইল করা হয়েছে, তার সঙ্গে কেষ্টর নামে থাকা বিপুল সম্পত্তি ও তাঁর আয়ের কোনও সাযুজ্য নেই। এই গরমিল কেন? সেই উত্তর খোঁজার ক্ষেত্রে মণীশ কোঠারি হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ নাম। 


অন্যদিকে কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ চাল ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্য ২০২০ সালে, যে সময় অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী অসুস্থ ছিলেন, তখন রাজারহাটের বেসরকারি হাসপাতালে ৬৫ লাখ টাকা পেমেন্ট করেছিলেন। এছাড়াও তাঁর এমন অনেক ব্যবসায়িক লেনদেন রয়েছে যা সন্দেহভাজন। এখন ইডি সূত্রে খবর, এই ৩ জনকেই আলাদা আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তারপর সায়গল হোসেনের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে তাঁদের জেরার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি ৪ জনকে একসঙ্গে বসিয়েও জেরা করতে পারেন ইডি আধিকারিকরা। এককথায় গরুপাচার কাণ্ডে মেগা জিজ্ঞাসাবাদ! 


আরও পড়ুন, IIT Kgp Student's Death: খড়গপুর আইআইটির ছাত্রের রহস্যমৃত্যু, পুলিস সুপারের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট


গত ১০ দিনেরও বেশি দিল্লিতে ইডির হেফজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। গরুপাচার মামলাতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তার উপর ভিত্তি করেই একে একে সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে তলব করা হচ্ছে। কারণ, ইডি আদালতে জানিয়েছে, গরুপাচার কাণ্ডে পুরো নেটওয়ার্কই ছিল সায়গল হোসেনের নিয়ন্ত্রণাধীন। সেক্ষেত্রে এই মামলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সায়গল হোসেন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের ভূমিকা। যা এখন ইডির আতস কাঁচের তলায়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)