বিক্রম দাস ও প্রসেনজিৎ মালাকার: গ্রেফতার 'কেষ্ট'। গোরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করল সিবিআই। বিকাল ৪টে ১০-এ গ্রেফতারির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনের ৭, ১০,১১ ও ১২ ধারায় এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই। সার্চ ওয়ারেন্ট সঙ্গে নিয়ে যায়। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। সিবিআই মোট ২ কোম্পানি আধাসেনা জওয়ান নিয়ে যায় বলে সূত্রে খবর। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছনোর পর বাড়ি ঘিরে ফেলেন আধাসেনা জওয়ানরা। অনুব্রতর বাড়িতে যাঁরা আছেন, তাঁদের সবার ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। একদিকে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন সিবিআই আধিকারিকরা। অন্যদিকে তাঁর বাড়িতে চলতে থাকে তল্লাশি। গোরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি সিবিআই সূত্রের। ওদিকে অনুব্রত মণ্ডল ক্রমাগত তদন্তে অসহযোগিতা করে চলেন বলেও অভিযোগ সিবিআই-এর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Anubrata Mondal: সাদা কাগজেই ১৪ দিনের বেড রেস্ট লিখতে নির্দেশ! অনুব্রতকাণ্ডে বোমা ফাটালেন চিকিৎসক


স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল জেলা সভাপতিকে আসানসোল কোর্টে পেশ করা হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, আজ অনুব্রত মণ্ডলকে প্রথমবার অভিযুক্ত হিসেবে নোটিস দেওয়া হয়। এর আগে তাঁকে ১০ বার সাক্ষী হিসেবে নোটিস ধরানো হয়েছিল। সায়গল হোসেনকে জেরাতেই অনুব্রত মণ্ডলের নাম উঠে আসে বলে দাবি সিবিআই সূত্রের। কিন্তু দশম নোটিসের পরেও হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। অসুস্থ থাকার কারণ দেখিয়ে সিবিআই-এর মুখোমুখি হতে পারবেন না বলে জানানো হয় তাঁর আইনজীবীদের তরফে। বলা হয়, অনেক বেশি সফর করার কারণে বিধ্বস্ত রয়েছেন অনুব্রত। পাশাপাশি, সিবিআই-এর দশম নোটিস পেয়ে তিনি মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত। এরপরই বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ সিবিআই আধিকারিকরা অনুব্রতের বাড়িতে পৌঁছে যান। তবে ভিতর থেকে দরজা তালা বন্ধ থাকায় আধঘণ্টা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন সিবিআই আধিকারিকরা। তারপর ভিতরে ঢুকতে পারেন তাঁরা। 


আরও পড়ুন, Anubrata Mandal: পাইলসের চিকিৎসা করাতে মরিয়া অনুব্রত, এবার নয়া 'কেষ্টলীলা'!


প্রসঙ্গত, সোমবার সিবিআই হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও কলকাতায় এসে সোজা এসএসকেএম হাসপাতালে চলে যান। কিন্তু, এসএসকেএম-এর চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন যে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই। এসএসকেএম-এ স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর সোজা বোলপুরের বাড়িতে ফিরে যান অনুব্রত মণ্ডল। এরপর ফের হাজিরা দেওয়ার জন্য সিবিআই নোটিস পাঠায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। ওদিকে মঙ্গলবার বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের এক চিকিৎসক তাঁকে বাড়িতেই দেখতে আসেন। যা নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে। তাঁকে সাদা কাগজে বেড রেস্টের প্রেসক্রিপশন লিখে দেওয়ার জন্য হাসপাতালের সুপার ও অনুব্রত মণ্ডল নির্দেশ দেন বলে সাফ জানান ওই চিকিৎসক। যে অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হতেই বিস্তর জলঘোলা হয়। এরপরই বৃহস্পতিবার সকালে সোজা বাড়িতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করল সিবিআই।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)