নিজস্ব প্রতিবেদন : কয়লা পাচার কাণ্ডে আয়কর দফতরের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবার এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। কলকাতা পুলিসের দুর্নীতি দমন শাখা (অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চ)- এর অধীনে এই এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সূত্রের খবর, এফআইআর-এ ইসিএল-এর কয়েকজন কর্তার নাম রয়েছে। অভিযুক্তদের তালিকায় অনুপ মাঝি ছাড়াও রয়েছেন ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের ২ জন জেনারেল ম্যানেজার, একজন সিকিউরিটি অফিসার সহ ইসিএল-এর আরও কয়েকজন। পাশাপাশি সিআইএসফ, রেল ও ইসিএল-এর সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ও কয়েকজন ব্যবসায়ীর নামও রয়েছে। কয়লা পাচার কাণ্ডে এদের প্রত্যেকের ভূমিকাই তদন্ত করে খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। এদিকে এদিন ইসিএল-এ সিবিআই-এর তল্লাশি চলাকালীন এক সিকিউরিটি অফিসার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।


প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার কাণ্ডে লালার খোঁজে এদিন এখনও পর্যন্ত মোট ৪৫টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। কলকাতা সহ সল্টলেক, আসানসোল, দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। পাশাপাশি তল্লাশি চালানো হয়েছে বিহারের কিছু এলাকাতেও। রাঁচি, ভাগলপুর, পাটনাতে তল্লাশি চালানো হয়। এছাড়া ঝাড়খণ্ড ও উত্তরপ্রদেশেও এদিন একযোগে তল্লাশি চালায় সিবিআই। কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালাকে হাতে পেতে মরিয়া সিবিআই। লালার নাগাল পেতে ইতিমধ্যেই বিশেষ দলও গঠন করেছে সিবিআই।


উল্লেখ্য, আয়কর দফতর কলকাতার শেক্সপীয়র সরণিতে লালার অফিসে ও জেলায় তল্লাশি চালানোর পর থেকেই বেপাত্তা সে। লালার খোঁজে এদিনও পুরুলিয়ার ভামুড়িয়া-নিতুড়িয়াতে লালার বাড়ি, কলকাতার সিআইটি রোডে লালার অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি চলে সল্টলেক সেক্টর ওয়ানের দুটি ঠিকানায়, শেক্সপীয়র সরণির একটি আবাসনে।


আরও পড়ুন, মন্ত্রিত্বের পর এবার বিধায়ক পদও ছাড়ছেন শুভেন্দু? ঘনিষ্ঠমহলের ইঙ্গিতে জোর জল্পনা