Anubrata Mondal: ভোলে ব্যোমের পর শিবশম্ভু! অনুব্রতর সম্পত্তি সন্ধানে আত্মীয়ের রাইস মিলে সিবিআই হানা
Anubrata Mondal: গোরুপাচারকাণ্ডের তদন্তে প্রশ্ন উঠছে খাদ্য দফতরের ভূমিকা নিয়েও। প্রশ্ন উঠছে, সরকারি ধান কেনা হলেও, সরকারের ঘরে চাল কেন আসেনি? জেলা খাদ্য দফতরের কাছে এই নিয়ে ইতিমধ্যেই তথ্য তলব করা হয়েছে।
প্রসেনজিৎ মালাকার ও বিক্রম দাস: সিবিআই নজরে বোলপুরের শিব শম্ভু রাইস মিল। সোমবার সকালে বোলপুরের শিব শম্ভু রাইস মিলে হানা দিল সিবিআই। সেখানে তল্লাশি অভিযান চলছে। প্রসঙ্গত, সিবিআই-এর নজরে দুটি রাইস মিল। যারমধ্যে একটি ভোলে বোম রাইস মিল। আরেকটি এই শিব শম্ভু রাইস মিল। এই শিব শম্ভু রাইস মিলের মালিকানা হিসেবে দেখানো হয়েছে শিবানী ঘোষ বলে এক মহিলাকে। প্রশ্ন উঠছে, কে এই শিবানী ঘোষ? এই শিবানী ঘোষ হলেন অনুব্রত মণ্ডলের দিদি। আর রাজা ঘোষ হল তাঁর ভাগ্নে। ২০১০-১২ সাল নাগাদ এই রাইস মিল লিজ নেওয়া হয়। তারপর থেকেই এই রাইস মিল চালু করা হয়।
উল্লেখ্য, গোরুপাচারকাণ্ডের তদন্তে প্রশ্ন উঠছে খাদ্য দফতরের ভূমিকা নিয়েও। প্রশ্ন উঠছে, সরকারি ধান কেনা হলেও, সরকারের ঘরে চাল কেন আসেনি? জেলা খাদ্য দফতরের কাছে এই নিয়ে ইতিমধ্যেই তথ্য তলব করা হয়েছে। অন্যদিকে, কীভাবে রকেট গতিয়ে অনুব্রতর সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে, তার হালহকিকতও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। মূলত, ২০১৫ সালের পর থেকেই অনুব্রতর ও তাঁর পরিবারের সম্পত্তির রকেট গতিতে উত্থান বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। রাইস মিল, স্টোন ক্রাশার, জমি, বাড়ি সহ অনুব্রতর একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে খবর সিবিআই সূত্রে।
যদিও, অনুব্রতর দাবি কোনও বেনামী সম্পত্তি নেই। তদন্তে সিবিআইকে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করছেন তিনি। শনিবার নিজাম প্যালেস থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি দাবি করেন, 'কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সহযোগিতা করেছি। আমার কোনও বেনামী সম্পত্তি নেই।' তবে সিবিআই সূত্র বলছে অন্য কথা। সিবিআই সূত্রে দাবি, এখনও পর্যন্ত নামে-বেনামে অনুব্রত মণ্ডলের কমপক্ষে ৪৫টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। যার মধ্যে রয়েছে একাধিক রাইস মিল রয়েছে। তারমধ্যে একটি বোলপুরে তাঁর বাড়ির কাছেই, ভোলে ব্যোম রাইসমিল।
আরও পড়ুন, Cow Smuggling Case: অনুব্রতর হাত ধরেই উত্থান, জেনে নিন কেষ্টর এই ছায়াসঙ্গীর সম্পত্তির পরিমাণ
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই ভোলে ব্যোম রাইস মিলের মালিক অনুব্রত মণ্ডল। বছর পাঁচেক আগে এই রাইসমিলের মালিকানা যায় মণ্ডল পরিবারের হাতে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে দাবি, রাইস মিলে অনুব্রতর মেয়ে ও স্ত্রী-র অংশীদারিত্ব রয়েছে। এমনকি প্রায়ই এই রাইস মিলে আসতেন কেষ্ট-কন্যা। শুক্রবার এই রাইস মিলে সিবিআই হানা দেয়। এরপরই আজ আরও একটি রাইস মিল, শিব শম্ভুতে হানা দিলেন তদন্তকারীরা। এছাড়া এখনও পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে ৩টি ব্যাঙ্কের বিভিন্ন শাখায় অনুব্রত ও তাঁর আত্মীয়দের নামে প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটও বাজেয়াপ্ত করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।