নিজস্ব প্রতিবেদন: কয়লা পাচার কাণ্ডে ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সিবিআই। তল্লাশি চালানো হচ্ছে কলকাতা সহ ৩০টি জায়গায়। শনিবার সকাল থেকেই কয়লা পাচার কাণ্ডে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তল্লাশি শুরু করে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সিবিআই সূত্রে খবর, কলকাতা, রানিগঞ্জ, দুর্গাপুর, আসানসোল সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চলছে। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআই আধিকারিকদের কয়েকটি টিম বের হয়। সেই টিমের তরফেই এই তল্লাশি চালানো হচ্ছে।


প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার কাণ্ডে আয়কর দফতরের পর তদন্তে নামে সিবিআইও। আয়কর দফতরের তদন্তে কী কী তথ্য উঠে এসেছে, কী কী নথি প্রমাণ আয়করের হাতে এসেছে, তা বিশদে জানতে চেয়ে সিবিআই চিঠি দেয় আইটিকে। চিঠিতে সিবিআই আয়কর দফতরের কাছে তদন্ত সংক্রান্ত ফাইল চেয়ে পাঠায়। সবমিলিয়ে কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে কোমর বেঁধে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও। 


উল্লেখ্য, কয়লা পাচার কাণ্ডে অন্যতম পান্ডা লালা এখনও বেপাত্তা। এদিকে ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে ধৃত এনামুলের সঙ্গে অনুপ মাঝির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের কথা। কলকাতায় শেক্সপিয়র সরণী-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অনুপ মাঝির বাড়ি ও অফিসে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর। সেখান থেকে উদ্ধার হয় বহু কাগজপত্র। সেখানেই  অনুপ-এনামুলের সম্পর্কের হদিস মেলে। 


জানা যায়, অনুপ মাঝি মুর্শিদাবাদ থেকে উত্তরবঙ্গে কয়লা পাচার করত। সেই কয়লার সেফ প্যাসেজের জন্য সে সাহায্য নিত এনামুল বাহিনীর। এনামুলের ট্রান্সপোর্টেই কয়লা পাচার হত। অন্যদিকে কলকাতা পুলিসের হাতে ধৃত চাটার্ড অ্যাকাউন্ট ফার্ম মালিক গোবিন্দ আগরওয়ালের সঙ্গেও যোগসূত্র মিলেছে এনামুল হক ও অনুপ মাঝির। ধৃত আগরওয়ালকে জেরা করে ও তাঁর ফার্মের নথি খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে যে এনামুল ও অনুপ মাঝির কালো টাকা সাদা করার কাজটি করতেন তিনি।


আরও পড়ুন, BJP-তে আসলে শুভেন্দুর মঙ্গল,দলের পক্ষেও ভাল, ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মুকুলের