নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের আগে বাংলার পুরনির্বাচনকেই ‘যুদ্ধভূমি’ করে তুলতে চাইছে কেন্দ্রীয় বিজেপি। কংগ্রেস, সিপিএম তো নয়ই, শাসক দল তৃণমূলকেও এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ অমিত ব্রিগেড। তাই বঙ্গবিজেপির উপর ‘ভরসা’ না করে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য রাজ্যজুড়ে শুরু হল সমীক্ষা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে সেই সমীক্ষা। চলবে দু’সপ্তাহ ধরে। সূত্রে খবর, এক বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে করছেন। প্রশ্নপত্রে রয়েছে, আপনার এলাকার বিধায়ক-কাউন্সিলররা কেমন কাজ করছেন? কোন সমস্যা হচ্ছে কি না? বিজেপির থেকে কী আশা রাখছেন? বিজেপির প্রার্থী হিসাবে কাকে চাইছেন? এমন সব হাজারো প্রশ্ন। এই সব তথ্য জমা পড়বে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে। তারপরই তৈরি হবে পুরনির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা।


একুশে বাংলা দখল এখন অমিত শাহের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। শুধুমাত্র বঙ্গ বিজেপির উপর ভরসা রেখে হাতগুটিয়ে বসে থাকতে চান না তিনি। বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রাথমিক পরিকল্পনা সেরে ফেলেছেন তিনি। সূত্রের খবর, পুজোর পর থেকে পশ্চিমবঙ্গের আরও জোর দিতে চান অমিত শাহ। এর জন্য রাজ্য নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে একটা বাড়ি এবং অফিস খোঁজার। সেই অফিস থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাজ চালিয়ে যাবেন অমিত শাহ। অর্থাত্ বাংলাকে যে ভাবে পাখির চোখ করে এগোচ্ছেন অমিত শাহ তাতে ঘুম ছুটেছে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের।


আরও পড়ুন- ১ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে নিজেদের জেলায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলির প্রক্রিয়া


শাসক দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টক্কর দেওয়ার মতো ৬ মুরলিধর লেনে তেমন কোনও নেতা নেই বিলক্ষণ জানেন বিজেপির ‘চাণক্য’। তাই যোগ্য প্রার্থী খুঁজতে পুরনির্বাচনকেই কাজে লাগাতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজ্য নেতাদের পছন্দ করা প্রার্থীর উপর পুরোপুরি ভরসা না রেখে ভার দেওয়া হয়েছে বেসরকারি সংস্থার হাতে। পুরভোটের মতো স্থানীয় নির্বাচনে দীন দয়াল উপাধ্যায় মার্গ ভবন থেকেই চূড়ান্ত হয়ে আসবে প্রার্থী তালিকা।