নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্রের শিক্ষানীতি নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য। জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, এখনই প্রয়োগ নয়। বরং এই শিক্ষা নীতি নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। হাবভাবে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, এই ব্যাপারে ধীরে চলো রীতিতে বিশ্বাসী তাঁরা। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, এই নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কেন্দ্রের তরফা কোনও আলোচনা করা হয়নি। কেন্দ্রের একতরফা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। যা কিনা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী। তিনি জানিয়েছিলেন, ক্লাসিক্যাল ভাষা থেকে বাংলা বাদ দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া করোনা পরিস্থিতির মাঝে জাতীয় শিক্ষা নীতি কার্যকর করার জন্য এত তাড়াহুড়ো কেন করা হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে রাজ্যের অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন। ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী নাম না করে দাবি করেছেন, ভাষা নিয়ে অনেকে যা অভিযোগ করছেন তা ভিত্তিহীন। তা ছাড়া কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের সঙ্গে এই নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলেও যারা দাবি করছেন তাদের ভুল বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে এই ব্যাপারে। তিনি দাবি করেছেন, সেই আলোচনায় কে কী মত দিয়েছিলেন তার রেকর্ড তাঁর কাছে রয়েছে। আর প্রয়োজনে তিনি সেটা দেখাতে পারেন। বাংলার নাম না করলেও তিনি বুঝিয়ে দেন, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে অভিযোগ করেছেন তা কার্যত ভিত্তিহীন। প্রসঙ্গত জাতীয় শিক্ষা নীতি পর্যালোচনা করার জন্য কমিটি গঠন করেছিল রাজ্যের শিক্ষা দফতর। ছয় সদস্যের কমিটিতে সৌগত রায়, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, সুরঞ্জন দাস, সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী, অভীক মজুমদার, পবিত্র সরকার ছিলেন। এছাড়াও কোনও শিক্ষাবিদ এই বিষয়ে পরামর্শ দিতে চাইলে শিক্ষা দফতরে নাম জমা দিতে বলেছিলেন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।


প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আগের আলোচনা সভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এই নীতিতে উচ্চ শিক্ষার পথ সংকুচিত হচ্ছে। উচ্চশিক্ষার কেন্দ্রীয়করণ ও বাণিজ্যিকীকরণ হচ্ছে বলেও সরব হয়েছিলেন তিনি। একইসঙ্গে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী ৬ শতাংশ জিডিপি দেওয়ার ব্যাপারেও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি।