নিজস্ব প্রতিবেদন: কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের আগে টিকাকরণেই জোর দিতে চাইছে রাজ্য৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Modi) সঙ্গে বৈঠকে টিকা সরবরাহ বৃদ্ধির কথা জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জনসংখ্যার তুলনায় বাংলা পর্যাপ্ত করোনা টিকা পাচ্ছে না, এমন অভিযোগও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ৩০ জুলাই পর্যন্ত সমস্ত রাজ্যেই দেওয়া হল কোভিড টিকা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গকে মোট ২ কোটি ২৮ লক্ষ ৫৮ হাজার ৭৬০টি কোভিড টিকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১ কোটি ৯৭ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭১০ ডোজ দেওয়া হয়েছে কোভিশিল্ডের আর ৩১ লক্ষ ১ হাজার ৫০টি ডোজ দেওয়া হয়েছে কোভ্যাকসিনের৷


আরও পড়ুন, আজও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্যে, স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই কমল তাপমাত্রা


টিকার অভাবে রাজ্যের বেশ কয়েকটি টিকা দান কেন্দ্রে প্রথম টিকা দেওয়া বন্ধ করা হয়। জুলাইয়ে বাংলার জন্য ৭০ লক্ষ টিকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র সরকার। তবে এবার সেই বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হল অনেকটাই। বাংলায় টিকার অপচয়ও কম হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানান হয়েছিল।


প্রসঙ্গত, কিছুদিন ধরে কোভিড গ্রাফ নিম্মমুখী থাকলেও নতুন করে আবারও সংক্রমণ বাড়ল রাজ্যের চার জেলায়। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণা,দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও দার্জিলিং জেলার কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। নতুন করে যেভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বাংলার এই চার জেলার বিভিন্ন এলাকায় কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য। 


এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়, সোনারপুর ও বারুইপুর-এর কোভিড পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বিগ্ন নবান্ন। কলৈ পুরসভার পরিস্থিতি সন্তোষজনক হলেও পার্শ্ববর্তী এলাকার পরিস্থিতি খারাপ। তাই এইসব এলাকায় প্রয়োজনে কনটেনমেন্ট জোন করা, ভ্যাকসিন দেওয়া ও করোনা পরীক্ষা বৃদ্ধির দিকে জোর দিয়েছেন মুখ্যসচিব।


এ পরিস্থিতি মাথায় রেখে রাজ্যে বাড়ল বিধিনিষেধের সময়সীমা। ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হল বিধি-নিষেধের সময়সীমা। রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বহাল থাকছে নাইট কার্ফু। কেবল জরুরি পরিষেবায় ছাড়।