নিজস্ব প্রতিবেদন: দশ বছর পরে লালগড়ে ফিরলেন একসময় জঙ্গলমহলের দাপুটে নেতা ছত্রধর মাহাত। এক দশক পর শনিবারই জেল থেকে ছাড়া পান ছত্রধর। লোধাশুলি, ঝাড়গ্রাম, বেতকুন্দ্রী, দহিজুড়িতে মিলল বিপুল সংবর্ধনা। জায়গায় জায়গায় তাঁর গাড়ি থামিয়ে দেন উত্সুক জনতা। নেমে এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন ছত্রধর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বিশ্ব হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতিকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা


২০০৮ সালে ছত্রধর মাহাতর নেতৃত্বেই জঙ্গলমহলে গড়ে ওঠে পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী আন্দোলন। এর মধ্যেই শালবনীতে তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কনভয়ে বিস্ফোরণ নাড়িয়ে দেয় রাজ্য রাজনীতি।  লালগড়কে কেন্দ্রকে জঙ্গল মহলের আন্দোলন যখন তুঙ্গে, সেসময় ২০০৯ সালে সাংবাদিকের বেশে ছত্রধরকে গ্রেফতার করে পুলিস। ইএপিএ ধারায় মামলা করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।  ২০০৫ সালে ছাত্রধরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় মেদিনীপুরের আদালত। পরে হাইকোর্টে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করা হলে সাজার মেয়াদ কমিয়ে ১০ বছর করে দেওয়া হয়।


জেলে থেকে ছাড়া পেয়ে শনিবার কলকাতা থেকে লালগড়ের উদ্দেশে রওনা দেন ছত্রধর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন লালগড় ব্লক তৃণমূল সভাপতি শ্যামল মাহাত, স্ত্রী নিয়তি মাহাত ও ছেলে। লোধাশুলিতে ছত্রধর মাহাতকে সংবর্ধনা জানায় তার অনুগামীরা। লোধাশুলি থেকে তাঁকে মিছিল করে ঝাড়গ্রাম পর্যন্ত আনে ১০০ বাইকের একটি মিছিল।  ঝাড়গ্রামের বেতকুন্দ্রীতে  আরও ৩০০ বাইক যোগ দেয় র্যালিতে।  দহিজুড়িতে তাঁর গাড়ি দাঁড়ালে সাধারণ মানুষ ও দুপাশে ভিড় করে তাঁকে দেখার জন্য। সেখান থেকে লালগড় পার্টি অফিসে পৌছান তিনি। রাস্তায় একাধিক জায়গায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে মানুষ সংবর্ধনা জানায়। অনেকেই তাঁকে মালা পরিয়ে দেন, সেলফি তোলেন।


আরও পড়ুন-ফের অকালবর্ষণে পূর্বাভাস, মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্যজুড়ে


লালগড় আমকলা সেতুর থেকে গ্রামবাসী ও তৃণমূলকর্মীদের নিয়ে লালগড় বাজার পরিক্রমা করে ছত্রধরের গাড়ি। লালগড় এসআই চকে তাঁকে সংবর্ধনা জানায় গ্রামবাসীরা। এতদিন পর এত মানুষের উপস্থিতি ও সংবর্ধনায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ছত্রধর মাহাত। তিনি বলেন, এতদিন পর আপনারা আমার জন্য রাস্তায় এসেছেন দেখে অবাক লাগছে।  আপনারা যেমন এতদিন পরও আমার পাশে রয়েছেন আমিও চেষ্টা করব আপনাদের পাশে থাকতে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত দিদির সঙ্গে থেকে মানুষের সেবা করব।