katwa: মাস কয়েক আগেই ১০ টাকায় বিরিয়ানি, এবার ফ্রিতে ছাত্রীদের ফুচকা খাওয়াচ্ছেন শ্যামলদা
শ্যামল দা`র গুমটিতে ফুচকা খেতে ভিড় জমান পানুহাট, কাটোয়া শহর ও তার আশেপাশের মানুষজন। আজ শ্যামলদা পানুহাট রাজমহিষী দেব উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশশ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ফুচকা
সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: কাটোয়ার পানুহাট রাজমহিষী দেবী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বহুদিন ধরে চলমান গুমটিতে বারোভাজা,পাপড়ি চাটের মতো মুখোরচক খাবার বিক্রি করছেন পানুহাটের বিখ্যাত শ্যামলদা। দাদার গুমটিতে সারা দিন ছাত্রছাত্রীদের ভিড় লেগেই থাকে। তবে শুধু ছাত্রছাত্রী বললে ভুল হবে এলাকার প্রায় সকল মানুষই শ্যামল দার চলমান গুমটির মুখোরচক খাবার খেয়েছেন। মাস কয়েক আগে ১০ টাকায় চিকেন বিরিয়ানি বিক্রি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিলেন কাটোয়ার পানুহাটের ফাস্টফুড বিক্রেতা শ্যামল দাঁ। এবার স্কুলের ছাত্রীদের ফ্রিতে ফুচকা খাওয়াচ্ছে শ্যামলবাবু।
আরও পড়ুন- 'বল পজেশন নিয়ে কি ধুয়ে জল খাব!' ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নামার আগে বাজার গরম করে দিলেন মরক্কোর কোচ
পানুহাটের বাসিন্দা শ্যামল দেবনাথ। স্ত্রী-পুত্র-কন্যাকে নিয়ে সংসার। চলমান গুমটির খাবার বিক্রির পয়সায় সংসার চলে শ্যামল দেবনাথের। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে চলমান গুমটি নিয়ে পানুহাট রাজমহিষী দেবী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মুখোরচক খাবার বিক্রি করেছেন শ্যামল দেবনাথ। দীর্ঘ ২৭ বছরের ব্যবসা জীবনে তিনি এলাকার মানুষের কাছে শ্যামলদা। আর স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কাছে শ্যামলকাকু হয়ে উঠেছেন। দীর্ঘ লকডাউনের পার করে স্কুল খোলার পর বেশ কয়েক মাস আগে হঠাৎ করেই ১০ টাকায় চিকেন বিরিয়ানি তৈরি করে বিক্রি করতে শুরু করেছিলেন শ্যামল দেবনাথ। ১০ টাকার বিনিময়ে এক টুকরো চিকেন, এক পিস আলু, সেই সঙ্গে রাইস পাওয়া যেত শ্যামল দার গুমটিতে। সেই সময় শুধু স্কুলপড়ুয়া নয় সাধারণ মানুষও ১০ টাকার বিনিময়ে শ্যামলদার বিরিয়ানির স্বাদ গ্রহণ করেছেন। এই ঘটনা সেই সময় স্যোশাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়। এরপর শ্যামলদা নিয়ে আসেন প্রতি বুধবার ২০ টাকায় আন লিমিটেড ফুচকা।
শ্যামল দা'র গুমটিতে ফুচকা খেতে ভিড় জমান পানুহাট, কাটোয়া শহর ও তার আশেপাশের মানুষজন। আজ শ্যামলদা পানুহাট রাজমহিষী দেব উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশশ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ফুচকা। আজ দ্বাদশ শ্রেনীর পরীক্ষার্থীদের স্কুলের শেষ দিন। পড়ুয়াদের আবদারে সেই সঙ্গে নিজের মনের খুশির জন্য শ্যামলদার এই প্রচেষ্টা বলে জানান শ্যামলবাবু।