অরূপ বসাক: ডুয়ার্সের সবচেয়ে বড় ছট পুজো হয় ডায়না নদী এবং মাল নদীর ঘাটে। ছট পূজা কমিটির উদ্যোগে ঘাট নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। তবে পূজা পরিচালনায় বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে পূজা কমিটি ও বন বিভাগ। এর প্রধান কারণ ডায়ানা নদীর দুই পাশ জঙ্গলে ঘেরা। হাতি আসলে সেই পথ দিয়ে হেঁটে যায় যেখানে ছট পূজার আয়োজন করা হচ্ছে। পাশাপাশি মাল নদীর কিছুটা দূরে রয়েছে তারঘেরা জঙ্গল। এছাড়া চেল ঘিস নদীর পাশে রয়েছে নোয়াম জঙ্গল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Sheikh Hasina: অত্যাশ্চর্য! ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পরে কি হাসিনাও ফিরছেন বাংলাদেশের ক্ষমতায়?


হাতি ছাড়াও অন্যান্য বন্যপ্রাণীও এই নদীতে জল খেতে আসে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাতের অনুষ্ঠান শেষ করতে পূজা কমিটিকে অনুরোধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ডায়না রেঞ্জের রেঞ্জার জানিয়েছেন, ডায়না ও কুচি ডায়না নদীতে ছট পূজার জন্য বনবিভাগ সতর্ক রয়েছে। খুনিয়া বন্যপ্রাণী শাখা, বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী শাখা, ডায়না রেঞ্জ পুজোর সময় ছটের ঘাটগুলি পর্যবেক্ষণ করবে। এ ছাড়া ছট পূজা কমিটির সদস্যদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমাদের বনকর্মীরা রাতভর সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখবে।


তবে গত কয়েকদিন যাবৎ মাল ব্লকের ঘিস এবং চেল নদীর আশেপাশে হাতি এবং চিতাবাঘের উপদ্রব বেড়েছে। গতকাল ঘিস নদীর পাশেই মানাবাড়ি চা-বাগানে সারাদিন ঘুরে বেরিয়েছে ৫টি হাতি। একই ভাবে দুদিন আগে মানাবাড়ি চা-বাগানে তিনটি চিতাবাঘ দেখা গিয়েছে বলে শ্রমিকেরা জানিয়েছেন।


আরও পড়ুন: Jagaddhatri Puja 2024: জানেন, বাংলায় কীভাবে শুরু জগদ্ধাত্রীপুজো? কার হাতে, কোন অলৌকিক ঘটনার মধ্যে দিয়ে?


গত মঙ্গলবার আন্ধাঝোড়া ছট ঘাটের কাছেই হাতির আক্রমণে গুরুতর আহত হন এক ব্যাক্তি। একের পর এক হাতির উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় চিন্তিত ছট পুজো কমিটিগুলি। তবে তৎপর রয়েছে বন দফতর। জানা গিয়েছে, আজ এবং আগামীকাল তারঘেরা বন দফতরের কর্মীরা চেল ঘিসের পুজো ঘাটে বাড়তি নজরদারি চালাবে। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)