মমতার ছবি বিক্রির প্রসঙ্গ তুলতেই অমিত শাহকে মানহানির চিঠি পাঠাল তৃণমূল
চন্দ্রিমা লিখেছেন, `অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি অমিত শাহ। ছবি বিক্রি থেকে সমস্ত আয়ের পাই পয়সার আয়কর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে আয়কর, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য স্বশাসিত সংস্থার কাছে এব্যাপারে যাবতীয় তথ্য রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কাঁথির সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ তুলে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে আইনি চিঠি দিলেন মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। অবিলম্বে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে অমিত শাহের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এই চিঠির আইনি গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে দাবি করেছেন আইনজ্ঞদের একাংশ।
মঙ্গলবার কাঁথিতে ছিল বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সভা। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বিক্রির প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। বলেন, 'ছবি বিক্রির নামে চিটফান্ডের কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নামি শিল্পীদের ছবিও যেখানে কয়েক হাজার টাকায় বিক্রি হয় সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বিক্রি হয়েছে কোটি টাকায়। বিজেপি ক্ষমতায় এলে সব টাকা উদ্ধার করে ফেরত দেবে।'
অমিত শাহের এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে চন্দ্রিমা লিখেছেন, 'অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি অমিত শাহ। ছবি বিক্রি থেকে সমস্ত আয়ের পাই পয়সার আয়কর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে আয়কর, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য স্বশাসিত সংস্থার কাছে এব্যাপারে যাবতীয় তথ্য রয়েছে। তার পরও অমিত শাহের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন, অসত্য, মনগড়া ও ভ্রান্ত। শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যক্তিগত ও তৃণমূলনেত্রী হিসাবে কালিমালিপ্ত করতে একাজ করেছেন আপনি। অবিলম্বে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে আইনি পদক্ষেপ করতে বাধ্য হব।'
অমিত শাহর সভার পরই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, ‘জ্বলছে’ কাঁথি
তবে চন্দ্রিমার চিঠি আদালতের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে, মানহানির ক্ষেত্রে যে ব্যক্তির মানহানি হয়েছে আইনি পদক্ষেপ করতে পারেন একমাত্র তিনিই। অন্যের হয়ে মানহানির মামলা করার কোনও বন্দোবস্ত নেই। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে মানহানির মামলা করতে পারেন না চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।