নিজস্ব প্রতিবেদন : দাদুর  শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানেই নাবালিকার বিয়ের বন্দোবস্ত করেছিল পরিবার। জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল নাবালিকার। প্রশাসনের তত্পরতায় শেষ পর্যন্ত বিয়ের পিঁড়ি থেকে উদ্ধার করা হল নাবালিকাকে। এই ঘটনায় অভিযুক্তেক কাঠগড়ায় শাসকদলেরই এক পঞ্চায়েত সদস্যা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিয়ের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। আত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধব সবাই উপস্থিত। বরও এসে গেছে। ঠাকুরমশাই কখন মন্ত্র পড়ে চারহাত এক করেন, শুধু তার অপেক্ষা। এমন সময়ই বিয়ে বাড়িতে ছন্দপতন। হঠাৎ শোনা গেল পুলিশের গাড়ি ঢুকছে এলাকায়। সটান বাসন্তী থানার ফুল মালঞ্চ গ্ৰামের বিয়েবাড়িতে এসেই হাজির হন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।


আরও পড়ুন, দুর্গাপুর ক্যানাল ব্রিজের ভাঙা রেলিংয়ে ফের দুর্ঘটনা, ৩ দিন পর উদ্ধার প্রৌঢ়ের নিথর দেহ


কনেপক্ষের কাছে তাঁরা জানতে চান, মেয়ের বয়স কত? বিপাকে পড়ে কনের জন্ম পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য হয় নাবালিকার পরিবার। দেখা যায়, ওই নাবালিকার বয়স মাত্র ১৭  বছর । এরপরই পুলিশ, বিডিও এবাং চাইল্ড লাইনের আধিকারিকরা তত্ক্ষণাত্ বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকার মা মালঞ্চ পঞ্চায়েতের সদস্যা। চার সন্তানের মধ্যে এই মেয়ে তাঁর দ্বিতীয় সন্তান। বারুইপুরের মুখার্জি পাড়ার বাসিন্দা সুধা নস্করের সেজ ছেলের সঙ্গেই নাবালিকা মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিলেন তিনি। পাত্র পেশায় ইলেকট্রনিক্স মেকানিক।


আরও পড়ুন, হানা দিতেই থ পুলিস! নকল দুধ তৈরির রমরমা কারবার খাস কলকাতায়, ধৃত ৩


সম্বন্ধ দেখে বিয়ে স্থির হওয়ার সেই খবর গোপন সূত্রে খবর পৌঁছে যায় ক্যানিং চাইল্ড লাইনের কাছে। ক্যানিং চাইল্ডলাইন থেকে যোগাযোগ করা হয় বাসন্তী থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সত্যব্রত ভট্টাচার্য ও বাসন্তীর বিডিও কল্লোল বিশ্বাসের সঙ্গে। তাঁদের তত্পরতাই শেষপর্যন্ত নাবালিকা বিয়ে স্থগিত হয়ে যায়।


একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে নাবালিকা বিয়ে রুখতে কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্প চালু করেছেন, ঠিক সেখানে শাসকদলেরই একজন পঞ্চায়েত সদস্যা কীভাবে নিজের নাবালিকা মেয়ের বিয়ের আয়োজন করলেন, তা নিয়ে হতবাক এলাকাবাসী।


আরও পড়ুন, দেওরের সঙ্গে পরকীয়া বৌদির! শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে দেখে ফেলে স্ত্রী, তারপর...


এই ঘটনায় বাসন্তী থানার পুলিশ পাত্র, তাঁর দাদা, নাবালিকা ও তাঁর  মা-কে থানায় নিয়ে যায়। পরে নাবালিকাকে হোমে পাঠানো হয়।