নিজস্ব প্রতিবেদন : দেড় মাসের শিশু সন্তানকে চুরি করে নিয়ে চম্পট দিয়েছিল পড়শি ভাড়াটে। প্রায় একদিনের মধ্যে সেই দুধের শিশুকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিল পুলিস। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত পড়শি ভাড়াটে মহিলাকে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ক্যানিংয়ের পিয়ালিতে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পিয়ালির বেগমপুর কলোনি গ্রামের বাসিন্দা শুভ ব্যানার্জি। স্ত্রী সুনীতা ও দেড় মাসের পুত্র সন্তানকে নিয়ে তিনজনের ছোট্ট সংসার। মূলত কাজের সুবিধার জন্যই স্ত্রী ও একরত্তি শিশুসন্তানকে নিয়ে পূর্ব পিয়ালি গ্রামে একটি ভাড়া বাড়িতে উঠেছিলেন শুভ। এখন দম্পতি যে বাড়িতে ভাড়া নিয়েছে, তার পাশের ঘরেই পাপিয়া রাউত নামে আরেক মহিলা ভাড়া থাকেন। জানা গিয়েছে, পাপিয়া রাউত উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ থানার ভান্ডারখালি এলাকার বাসিন্দা। 


মঙ্গলবার বিকালে শুভর স্ত্রী সুনীতা জামাকাপড় কাচাকাচির পর উঠানে শুকাতে দিচ্ছিলেন। সেইসময় একরত্তি ওই দুধের শিশু খুবই কান্নাকাটি করছিল। তখনই কান্না থামানোর অজুহাতে শিশুটিকে কোলে নেন পাপিয়া রাউত। ওদিকে জামাকাপড় মেলে দিয়ে সংসারের দৈনন্দিনের কিছু কাজ সারার জন্য সুনীতা ঘরের ভিতর ঢুকে যান। অভিযোগ, এর কিছুক্ষণ পরই বেরিয়ে এসে আর ছেলেকে দেখতে পান না সুনীতা। একইসঙ্গে দেখা যায়, পড়শি ভাড়াটে পাপিয়া রাউতও উধাও। তাঁরও কোনও খোঁজ নেই।


এরপরই শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। শিশু চুরির ঘটনায় ঘুটিয়ারি শরিফ পুলিস ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন নিখোঁজ শিশুর বাবা-মা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিস। নিখোঁজ দুধের শিশুর খোঁজে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। অবশেষে ২৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘুটিয়ারি শরিফ পুলিসের স্পেশাল পুলিশ টিম বাসন্তীর পুরন্দর এলাকা থেকে দেড় মাসের ওই শিশুসন্তানকে উদ্ধার করে শুভ-সুনীতার কোলে ফিরিয়ে দেয়। একইসঙ্গে গ্রেফতার করে মূল অভিযুক্ত পাপিয়া রাউতকেও। 


স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিক্রি করার জন্যই ওই শিশুটিকে চুরি করেছিলেন পাপিয়া। এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিস। শিশুচুরি চক্রের সঙ্গে আর কে কে জড়িত, ধৃত পাপিয়া রাউতকে জিজ্ঞাসা করে তার হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিস। 


আরও পড়ুন, Zee ২৪ ঘণ্টার খবরের জের, এনআরএসে শিশুসুরক্ষা কমিশন, সুপারিশ স্বাস্থ্য দফতরকে