প্রদ্যুত্ দাস: বানান ভুল করায় নির্মম শাস্তি দিলেন গৃহশিক্ষিকা। এনিয়ে পুলিসে অভিযোগ করলেন ওই শিশুর বাবা-মা। জলপাইগুড়ির ভগত্ সিং কলোনির ওই ঘটনায় শিশুটির পাড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষকের নামে মামলা দায়ের করেছে পুলিস। শিক্ষিকার এমন কাণ্ডে তাঁর শাস্তির দাবি করছেন এলাকার লোকজন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে নিজের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে দিলেন লিওনেল মেসি   


ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। প্রতিবেশী গৃহ শিক্ষিকার কাছে ওই ৪ বছরের শিশুকে পড়তে পাঠিয়েছিলেন বাবা-মা। পড়া শেষ করে ঘরে ফিরলে ওই শিশুর মা দেখতে পান ছেলে ভালোভাবে হাঁটতে পারছে না। কারণ জিজ্ঞাসা করলে শিশুটি জানায় বানান ভুল করায় তাকে লাঠি দিয়ে মেরেছে দিদিমনি। পরদিনই শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন বাবা-মা। এক্সরে করে দেখা যায় তার পায়ের হাড় ভেঙে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই সেই ভাঙা অংশ প্লাস্টার করা হয়। এরপরই পুলিসের দ্বারস্থ হয় শিশুটির পরিবার।


এদিকে, বিষয়টি জানতে চাইলে শিশুটির শিক্ষিকা ওই মারধরের কথা স্বীকার করে নেন। জানান দুবার তাকে মেরেছেন। শিক্ষাকার ওই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। এনিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, ঘটনা জানার পর শিশুটির বাড়িতে দেখতে যাই। পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


শিশুটির মা সংবাদমাধ্য়মে বলেন, বুঝতে পারিনি এভাবে মারধর করা হবে। ঘরে এসে শিশুটি জানান, দিদিমনি মেরেছে। পা তুলতে পারছি না। দিদিমনি বলছে, পড়া ঠিকমত করে আসে না। তাই মেরেছি।


বিশিষ্ট মনোবিদ সুবর্ণ সেন বলেন, বানান ভুল করতে করতেই আমরা ঠিকটা শিখি। এতে আমরা বকাবকিও করি। কিন্তু বানান ভুল করার জন্য মেরে পা ভেঙে দেওয়া অত্য়ন্ত নিন্দনীয়। কেন মানসিকতা থেকে এমন ঘটনা তা জানা দরকার। মানুষের না পাওয়া কোথায় কী ভাবে ট্রিগার করছে আমরা বুঝতে পারছি না। মনের মধ্য়ে বসে থাকা হিংসা বা হতাসা সাংঘাতিক ভাবে বেরিয়ে আসছে। ধৈর্যের ব্য়াপারটা তলানিতে ঠেকে গিয়েছে। যিনি ওই মারধর করেছেন তাঁরও চিকিত্সার দরকার। এদিকে, শিশুটির বাবা-মার অভিয়োগের ভিত্তিতে পুলিস তলব করেছে ওই শিক্ষিকাকে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)