সঞ্জয় রাজবংশী ও বিধান সরকার: পূর্ব বর্ধমানের কালনায় শুটআউট। মাথায় পর পর গুলি করে খুন। দু'টি গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হুগলির চুঁচুড়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির। নিহতের নাম মিলন সিং ওরফে রাজা (৪৪)। পুরনো শত্রুতার জেরেই এই খুন বলে দাবি দোকান মালিকের স্ত্রীর। এই ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে কালনার নিউ মধুবন গ্রামে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কয়েক মাস ধরেই হুগলির চুঁচুড়া থেকে জল ও লিচুর ব্যবসার কারণে কাজের জন্য কালনায় আসছিলেন মিলন সিং ওরফে রাজা। অভিযোগ, সোমবার রাতের বেলায় দোকানে বসে ভাত খাওয়ার সময় কয়েকজন ব্যক্তি দোকানে ঢুকে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করে রাজাকে। ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাতে কালনা স্টেশন সংলগ্ন নিউ মধুবন এলাকায়। কালনা স্টেশন সংলগ্ন ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের নীচে স্বপন মাঝি নামে এক ব্যক্তির একটি দোকান রয়েছে। সেই দোকানেই গত দু-আড়াই মাস আগে কাজে যোগ দেন রাজা। ওই দোকানে চা ও পানীয় জল সহ অন্যান্য জিনিস বিক্রি করা হয়।


সোমবার আনুমানিক রাত ১০টা নাগাদ দোকানে বসেই ভাত খাচ্ছিলেন রাজা। অভিযোগ, সেইসময় বাইকে করে এসে খুব কাছ থেকে তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কালনা থানার পুলিস ও কালনা জিআরপি। এই ঘটনায় এখনও কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস। জেলা পুলিস সুপার আমন দীপ জানিয়েছেন, পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে মৃত মিলন সিং সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। মনে করা হচ্ছে, সেই কারণেই  দুষ্কৃতীদলের মধ্যে ঝামেলা বাধে। আর সেই অশান্তির জেরেই খুন হতে হয় মিলন সিং ওরফে রাজাকে।


ওদিকে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগর কলোনির বিশ তারিখ এলাকায় বাড়ি যুবকের। মামী মায়া মন্ডল বলেন, গত কয়েক মাস ধরেই এলাকা ছাড়া ছিল মিলন। গতকাল রাতে খবর আসে যে কালনায় কারা গুলি করেছে রাজাকে। ওর মা গীতা, স্ত্রী বুলি ছেলেমেয়েকে নিয়ে ভোর রাতে বাড়ি তালা দিয়ে কালনায় চলে গিয়েছে। প্রতিবেশীরাও জানান যে, অনেক দিন ধরে এলাকায় দেখা যায়নি মিলনকে। নিহত মিলন রবীন্দ্রনগরের কুখ্যাত দুষ্কৃতী টোটোন বিশ্বাসের দলে ছিল বলে পুলিস সূত্রে খবর। টোটোন বিশ্বাসকে ২০২২ সালের ৬ অগাস্ট পুলিশ হেফাজতে থাকার সময়, মেডিকেল করাতে নিয়ে গেলে, ইমামবাড়া হাসপাতালে তাকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা।


সেই সময় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান টোটোন। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত বাবু পাল ও তার সঙ্গীদের ভিন রাজ্য থেকে গ্রেফতার করে চন্দননগর পুলিস। সেই টোটোনের দলে নাম লিখিয়েছিল মিলন। নানা অপরাধমূলক কাজ করার অভিযোগে জেলও খাটে কয়েকবার। এলাকায় জনমজুরের কাজ করত, কখনও সবজি বিক্রি করত। কয়েক মাস আগে জামিনে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে কালনা চলে যায়। সেখানেই থাকত। কে বা কারা মিলন ওরফে রাজাকে খুন করেছে, সে বিষয়ে এখনও কিছু স্পষ্ট হয়নি। পুলিস সবদিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে। 


আরও পড়ুন, Durgapur: শিশুর অবস্থা সংকটজনক! তবুও দেখতে দিতে বাধা, মারধর, ধুন্ধুমার কান্ড...



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)