নিজস্ব প্রতিবেদন: উৎসবের মরসুমে করোনার (Covid-19) আতঙ্ক। গত বছরের তুলনায় এবছর আয়োজনে কাটছাঁট করতে হয়েছে অনেকটাই। Christmas ইভে আলোক মালায় সেজে ওঠেছে ব্যান্ডেল চার্চ (Bandel Church)। কিন্তু প্রার্থনা কক্ষেই শুধু নয়, কোভিড পরিস্থিতিতে এবার চার্চের সামনে মাঠেও দর্শকদের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। রাত ১২টায় হবে না বিশেষ প্রার্থনা বা Midnight Mass-ও। একই ছবি বেলুড় মঠেও। সেখানে রীতিমাফিক যীশু পুজোয় অংশ নিলেন শুধুমাত্র সন্ন্যাসীরাই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাত পোহালেই বড়দিন।  Christmas ইভে ফেস্টিভ মুডে বাংলা। কিন্তু কোথাও যেন উৎসবে তাল কেটেছে করোনার (Covid 19) আতঙ্কে। আলোয় সেজে উঠেছে পার্কস্ট্রিট (Park Street)। ভিড় যে একেবারেই নেই, তা বলা যাবে না। কিন্তু সেই চেনা ছবিটা কি দেখা গেল এবারও? বড়দিনে কিছুটা বেরঙিন বো-ব্যারাকও। এদিন কলকাতার ক্যানিং স্ট্রিটে পর্তুগিজ চার্চে প্রাক বড়দিনের উৎসবে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রত্যেক বছরই বড়দিনে রাত ১২টায় পর্তুগিজ চার্চে উপস্থিত থাকেন তিনি। তবে করোনা বিধির জন্য রাতের পরিবর্তনে এদিন চার্চে যান সন্ধ্যায়। সন্ধ্যায় চার্চে ক্যারোল হয়। পুরো অনুষ্ঠানটি বসে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মাও। 


দেশের প্রাচীনতম চার্চগুলির অন্যতম হুগলির ব্যান্ডেল চার্চ (Bandel Church)। এই চার্চকে ব্যাসিলিকা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন পোপ। প্রতিবছর বড়দিনের আগে সন্ধ্যায় দর্শনার্থীদর ভিড় উপচে পড়ে এই ব্যান্ডেল চার্চে। মধ্যরাতে বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নেন বহু মানুষ। কিন্তু করোনা আতঙ্কে এবার আর সেসব কিছুই হবে না। চার্চে দর্শকদের প্রবেশে জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তবে প্রতিবারের মতো এবারও আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে চার্চটি। যীশুর জন্মবৃত্তান্ত তুলে ধরতে চার্চের গেটে তৈরি করা হয়েছে গোশালাও। 



বড়দিনের আগের সন্ধ্যায় আবার যীশুপুজো হয় বেলুড় মঠে (Belur Math)।  সেই রীতিতে ছেদ পড়ল না এবারও। মঠে কেক-প্যাস্ট্রি কেটে বাইবেল পাঠ করলেন সন্ন্যাসীরা। গাওয়া হল বিশেষ প্রার্থনা সঙ্গীত। তবে সেই অনুষ্ঠান দেখার কেউ ছিল না! কারণ, করোনার কারণে এবার এই যীশুপুজোয় বেলুড় মঠে সাধারণ ভক্তদের প্রবেশের অনুমতি ছিল না।