নিজস্ব প্রতিবেদন : কালনায় সিরিয়াল কিলারের ঘটনায় তদন্তে নামল সিআইডি। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামিকাল সিআইডির ৪ জনের একটি দল যাবে ঘটনাস্থলে। তদন্ত শুরু করবে তারা। লাল বাইক ও লাল হেলমেটের সূত্র ধরে পূর্ব বর্ধমানের কালনার 'চেনম্যান' শেখ কামরুজ্জামানকে শণাক্ত করা হয়েছে। বাড়িতে একা থাকার সুযোগ নিয়েই লোহার শিকল ও রড নিয়ে মহিলাদের ওপর হামলা চালাত সে। তারপর চলত বিকৃত যৌন অত্যাচার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


ফিটফাট জামা পড়ে সক্কাল সক্কাল বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ত চেনম্যান। কোন কাজে যাচ্ছে তা কেউই জানত না। জানা গিয়েছে, মিটার দেখার নাম করে একাকী মহিলাদের বাড়িতে ঢুকতে সে। এরপর পিছন থেকে লোহার রড দিয়ে মাথার আঘাত করত। তারপর লোহার চেন গলায় পেঁচিয়ে খুন করাই ছিল তার উদ্দেশ্য। মৃত্যুর পর মহিলাদের যৌনাঙ্গ ছিন্নভিন্ন করার চেষ্টাও করত সে।


আট বছর ধরে এই কাজ করে চলেছে সে। বলাগড়, পাণ্ডুয়া, কালনায় রীতিমতো ত্রাস হয়ে উঠেছিল । কিন্তু কেন এভাবে মহিলাদের শিকার বানাত সে?  এই প্রশ্নেরই উত্তর এখন হাতড়ে বেড়াচ্ছে পুলিস। কামরুজ্জামানকে জেরা চলছে। নেতাই লুঠপাট নাকি বিকৃত যৌন চাহিদা? একের পর এক খুনের কারণ এখনও অস্পষ্ট পুলিসের কাছে।


আরও পড়ুন, আয়োজনের দায় নিতে নারাজ বিশ্বভারতী, বন্ধের মুখে শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা


জেরা করা হবে কামরুজ্জামানের দুই স্ত্রীকেও। উল্লেখ্য কামরুজ্জমানের আগে একটি বিয়ে ছিল। কিন্তু সেই বিয়ের কথা পুলিসের কাছে প্রথমে স্বীকার করেনি সে। মুর্শিদাবাদে প্রথম বিয়ে হয়েছিল তার। পরে তা বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর দ্বিতীয়বার বিয়ে করে কামরুজ্জামান। দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুজ্জমানের এসব কুকীর্তির ব্যাপারে কিছুই জানতেন না বলে দাবি।