নিজস্ব প্রতিবেদন:  প্রধানমন্ত্রীর সভায় কাঠামো ভেঙে পড়ার ঘটনায় পুলিস ও পূর্ত দফতরকে ক্লিনচিট দিল সিআইডি। অর্থাত্ বিজেপির অভিযোগ খারিজ করল সিআইডি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সিআইডি আধিকারিকদের দাবি, মেদিনীপুরের কলেজ মাঠ অর্থাত্ যেখানে মোদীর সভার আয়োজন করা হয়েছিল, তার দায়িত্ব ৭ দিন আগেই এসপিজি নেয়। ঘটনার দিন পুলিসকে নাকি ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। ঘটনার পর অনেক আহত ব্যক্তিকে বাঁচিয়েছেন কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরা। তা না হলে আরও বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে দাবি সিআইডি আধিকারিকদের। পাশাপাশি ছাড়পত্র ছাড়াই শামিয়ানা তৈরি করা হয়েছিল বলে দাবি।


আরও পড়ুন: প্যান্ডেল ভাঙাকাণ্ডে অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার মামলা রুজু পুলিসের, পাল্টা আদালতে বিজেপিও


প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, সোমবার মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে মোদীর সভার প্যান্ডেল ভেঙে পড়ে। আহত হন কমপক্ষে ৭৬ জন। তাঁদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা গুরুতর।প্রধানমন্ত্রীর সভা স্থল পরীক্ষা করে রাজ্য ফরেন্সিক ল্যাবরেটারির বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দেন, কাঠামো নির্মাণেই গলদ ছিল। বিশেষজ্ঞরা দেখেন,  যে বেসপ্লেটের ওপর কাঠামো দাঁড়িয়েছিল তার সঙ্গে কাঠামোর সংযোগ চারটি নাটের বদলে একটি নাটে করা ছিল। কাঠামোয় ভারসাম্যের অভাব ছিল। লোহার কাঠামোয় জং ধরে গিয়েছে।  কাঠামোর ওপরে ত্রিপলের ছাউনিতে জল জমে ভারি হয়ে যায়।


অন্যদিকে, মেদিনীপুরে প্রধামনন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মঞ্চ ভাঙার তদন্তে মঙ্গলবার রাজ্যে আসেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দুই কর্তা এস কে সিনহা ও আরতি ভাটনগর। রাজ্য প্রশাসন ও পুলিসের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। কথা বলেন পূর্ত দফতর ও ডেকোরটর কর্মীদের সঙ্গেও।


আরও পড়ুন: কেন ভেঙে পড়ল মোদীর সভামঞ্চ? জি ২৪ ঘণ্টার অন্তর্তদন্তে ফাঁস হল আসল কারণ


এদিকে এই ঘটনায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিস। উদ্যোক্তা ও ডেকরেটর সংস্থার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস। দুর্ঘটনার ভিডিও খুঁজছে পুলিস, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এখনও কোনও গ্রেফতারের খবর নেই। অন্যদিকে, প্যান্ডেল ভাঙা নিয়ে পাল্টা মামলা করেছে বিজেপি।