নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নদিয়ার হাঁসখালিতে সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে আততায়ীর গুলিতে খুন হন কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। খুনের ১৭ মাস পর বিধায়ক খুনে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট পেশ করল সিআইডি। সোমবার দুপুরে সিআইডির বিশেষ দল রানাঘাট মহকুমা আদালতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিয়েছে। সেখানেই নতুন করে নাম ঢোকানো হয়েছে রাণাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে সিআইডি। সিআইডি সূত্রে পাওয়া খবর  খুনের আগে  অভিযুক্ত অভিজিত পুন্ডারির সঙ্গে ফোনে কথা হয় জগন্নাথ সরকারের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ ছাড়াও খুনের পর সাংসদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার ফোনে কথা বলেছিলেন বিধায়ক খুনে দুই অভিযুক্ত অভিজিত পুন্ডারি এবং নির্মল ঘোষ। জগন্নাথ সরকার ছাড়াও সিআইডির দেওয়া সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিটে আছে অভিজিৎ পুন্ডারি, সুজিত মণ্ডল ও নির্মল ঘোষের নাম। মুকুল রায়ের নাম সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিটে নেই। সিআইডি জানিয়েছে ,মুকুল রায় সম্পর্কে এখনও  চার্জশিটে নাম দেওয়ার মত তথ্য পাওয়া যায়নি। এখনও মকুল রায়কে নিয়ে তদন্ত চলছে। সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিটে নাম না থাকলেও সিআইডির নজরে আছেন মুকুল রায়।


আরও পড়ুন: রজত দে হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত অনিন্দিতা কান্নায় ভেঙে পড়ে বলল, "আমি খুন করিনি!"


জগন্নাথ সরকারের নাম সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিটের ঢোকানোর পর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা জানান,"সামনে বিধানসভা নির্বাচন। মিথ্যা মামলায় আমাদের নেতাদের ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। মূল অভিযুক্ত ফোন সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন । জনপ্রতিনিধির সঙ্গে যে কেউ কথা বলতে পারে। তার মানে এটা হতে পারে না তিনি খুনের সঙ্গে জড়িত। এটাই প্রমান করছে প্রশাসনকে শাসক দল রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে ব্যবহার করছে।"


কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুন হওয়ার পর তাঁর পরিবারের তরফ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় তাঁরা হলেন অভিজিৎ পুন্ডারি, সুজিত মণ্ডল, কার্তিক মণ্ডল, কালিদাস মন্ডল এবং মুকুল রায়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে হাঁসখালি থানার পুলিস মুকুল রায় ছাড়া বাকি ৪ জনকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীকালে সিআইডি তদন্তভার হাতে নেয়। 


তদন্তভার হাতে নিয়ে ঘটনার তিন মাস পর অর্থাত্ ২০১৯ সালের ৮ মে  সিআইডির তরফ থেকে একটি চার্জশিট পেশ করা হয় । সেই চার্জশিট থেকে  কার্তিক মণ্ডল ও কালিদাস মন্ডলের  নাম বাদ দেওয়া হয়। নতুন করে নির্মল ঘোষ এর নাম ঢেকানো হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩০২ ,১২০বি/২৫/২৭ অস্ত্র আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।