বাসুদেব চট্টোপাধ্য়ায়: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ও এনআইএর পর আসানসোলে কয়লার ডিপোতে হানা দেওয়ার সময় বাধার মুখে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়ে সিআইএসএফ। এই মর্মে ইসিএল-এর শ্রীপুর এরিয়ার সিআইএসএফ আধিকারিকেরা জামুরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ও সিজার লিস্ট জমা দেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখী, আর উত্তরে শিলাবৃষ্টি! দহনজ্বালা থেকে তবে কি মুক্তি?


সিআইএসএফ জামুরিয়া থানায় যে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে তাতে স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে, টহলদারি দেওয়ার সময় দুটি কয়লা ভর্তি ট্রাক্টরকে তারা রাতের বেলায় দেখতে পায়। ট্রাক্টর দুটিকে দাঁড়াতে বলে তারা। কিন্তু ট্রাক্টর দুটি না দাঁড়িয়ে দ্রুতগতিতে পালাতে শুরু করে। সিআইএসএফ আধিকারিকেরাও কয়লা ভর্তি ওই ট্রাক্টর দুটিকে ধাওয়া করে। দেখা যায় ট্রাক্টর দুটি আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া এলাকায় একটি কারখানায় প্রবেশ করে।


সিআই এস এফ আধিকারিকেরা তাদের কাছে কয়লার কাগজ দেখতে চাইলে তারা কোন কাগজ দেখাতে পারেনি বলে অভিযোগ সিআইএসএফের। উল্টে তাদের হুমকি দেওয়া হয় বলে আভিযোগ। কারখানা কর্তৃপক্ষের প্রশ্ন কেন কলকাতা পুলিস লেখা তথা পুলিস লেখা গাড়িতে করে সিভিল ড্রেসে তারা এসেছেন? তার প্রমাণ চাইতে শুরু করে তারা। স্থানীয় জামুরিয়া থানায় কোনরকম কোন ইনফরমেশন না দিয়ে কেন এই হানা দিয়েছে সি আই এস এফ?  সেই প্রশ্ন করতে শুরু করে ওই কারখানার কর্মীরা।


কার্যত সারা রাত উভয়পক্ষের মধ্যে বচসা হতে থাকে। শেষমেষ সিআইএসএফের পক্ষ থেকে একটা লম্বা সিজার লিস্ট ও অভিযোগ পত্র জামুরিয়া থানায় জমা করে দেওয়া হয়।  যার মধ্যে কয়লা ভর্তি পাঁচটি ট্রাক ও ট্রাক্টর বাজেয়াপ্ত, খালি ট্রাক্টর ও ট্রাক প্রায় পাঁচটি বাজেয়াপ্ত,  তিনটে জেসিবি মেশিন, প্রায় ২০০ মেট্রিক টনের মত পড়ে থাকা কয়লা ও বেশ কিছু কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করে তারা সিজার লিস্ট বানিয়ে জামুরিয়া থানায় জমা করেছে সিআইএসএফ। এই সমস্ত কিছু ওই কারখানার ম্যানেজার রূপম সাধুকে হ্যান্ড ওভার করে গেছে বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেছে তারা।


এই বিষয়ে কারখানার পক্ষ থেকে সেখ মইউদ্দিন ও সেখ আব্দুল মান্নান বলেন, কলকাতা পুলিসের স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি এসে কারখানায় কাগজপত্র যাচাই করতে শুরু করে এবং তাদের গাড়ির চালককে মারধর করে। পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ডিমান্ড করে। তারা সিআইসেফ না কোন দুষ্কৃতি তা বোঝা যায়নি কারণ তারা সিভিল ড্রেসে ছিল। তাদের কাছে কয়লার সমস্ত কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। থানায় কোনরকম ইনফরমেশন ছাড়াই তারা এই ভাবে হানা দিয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। জামুরিয়া থানার পুলিশ সব দিক খোলা রেখে তদন্ত শুরু করেছে।।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)