নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার সকাল দশটায় রাজভবনে ডিজি ও মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল।  তার আগেই রবিবার বাড়িতে ডিজি ও মুখ্যসচিবকে ডেকে রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গণজাগরণের ডাক দিয়ে আজ পথে মমতা, হাঁটবেন পরপর ৩ দিন   


নাগরিকত্ব আইন নিয়ে টানা ২ দিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় টানা বিক্ষোভ চলছে। শনিবার ট্রেনে অগ্নি সংযোগ, বাসে আগুন, স্টেশন ভাঙচুরের মতো ঘটনার পর রবিবারও দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়েছে রাজ্যে একাধিক জায়গায়। পরিস্থিতি বিচার করে গতকালই উত্তরবঙ্গ থেকে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করেছে রেল। এরমধ্যেই আজ নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে পথে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগেই ডিজি ও মুখ্য সচিবের ডাক পড়ল মমতার বাড়িতে।


রবিবার ছুটির দিনে নিজের বাসভবনে মুখ্য সচিব স্বরাষ্ট্র সচিব রাজ্য পুলিশের ডিজি কে ডেকে পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘক্ষন তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন। কোন জেলায় কি পরিস্থিতি তার খবর নেন তিনি।  বৈঠকের মাঝখানে ৬ জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বললেন তিনি।  রবিবার দুপুর থেকেই উত্তরদিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং হাওড়া জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার চারটে মহকুমাতেও বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।


আরও পড়ুন-নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রাজারহাট-চিংড়িঘাটায় অবরোধ, এনআরসি-সিএএর কপি পুড়িয়ে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের


জেলায় জেলায় যেভাবে আন্দোলন বাড়ছে তাতে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কয়েকটি ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক সংগঠন রাজ্যে অস্থির পরিস্থিতি তৈরীর চক্রান্ত করছে । এদেরকে যেভাবেই হোক আটকাতে হবে। অফিসারদের জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।



মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করুন। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। পথ অবরোধ, রেল অবরোধ করবেন না। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বরদাস্ত করা হবে না। যাঁরা গন্ডগোল করছেন, রাস্তায় নেমে আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন, তাঁদের কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। বাসে আগুন লাগিয়ে, ট্রেনে পাথর ছুড়ে, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।