নিজস্ব প্রতিবেদন : হেঁড়িয়াতে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভার আগেই উত্তপ্ত খেজুরি। খেজুরি সহ একাধিক জায়গায় ঝামেলা। বিজেপি (BJP) কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপির বাইক মিছিলের উপর শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি, বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ইট ছোঁড়া হয়। হামলার জেরে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন বিজেপি (BJP) কর্মী। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। হামলার ঘটনার প্রতিবাদে পাল্টা পথ অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। সবমিলিয়ে উত্তপ্ত খেজুরি। হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ৪ জন আটক করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয় অস্ত্র। হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত সুমন দাসের বাড়ির সবাই পলাতক। সুমন দাসে বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। উল্লেখ্য, আজ বেলা ২টোয় হেঁড়িয়াতে শুভেন্দু অধিকারীর  (Suvendu Adhikari) সভা ছিল। কিন্তু এই গন্ডগোলের জেরে সভা শুরু হতে দেরি হয়। 


দলীয় কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "প্রত্যেকদিন এভাবে বিজেপির মিটিং-মিছিলের উপর তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু এভাবে কি গণতন্ত্র আটকানো যায়? মমতা ব্যানার্জি, তৃণমূল কংগ্রেস কাকে ভয় পাচ্ছে? খেজুরি সহ অন্যান্য জায়গায় বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ প্রমাণ করে যে তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়েছে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা শাসকদলের হাতে। জঙ্গলরাজে পরিণত হয়েছে গোটা রাজ্য।" 


আরও পড়ুন, 'সংসারে নিজের লোককেই বকা যায়,' পুরুলিয়ায় নেত্রী মমতার হয়ে জোর সওয়াল শতাব্দীর


অন্যদিকে তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেন, "সারা ভারতে গত ১৫-১৬ বছর ধরে একটা অস্থিরতা তৈরি করেছে। এবার বাংলাতেও অস্থিরতা তৈরি করছে। অশান্তি ছড়াচ্ছে বিজেপি। সেইসঙ্গে এখন যাঁরা বিজেপিতে যাচ্ছেন, তাঁরাও আছেন। জনতাকে ওরা দেখানো-বোঝানোর চেষ্টা করছে, আমরা করছি। প্ররোচনা দিচ্ছে ওরা। কোনওভাবেই এই হামলার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস জড়িত নয়। বিজেপি নিজেরাই নিজেদের উপর হামলা চালিয়ে ইস্যু করছে। ওদের পরিকল্পিত এটা।"


আরও পড়ুন, সায়নী ঘোষকে ধমক দিচ্ছে BJP, মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে দেব : Mamata Banerjee