Student Missing: পরীক্ষা দিয়ে আর ফেরেনি মেয়ে; মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে গিয়েও কাজ হয়নি, কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা
Student Missing: ছাত্রীর মা বলেন, প্রতিটি মুহূর্তে ওর কথা মনে হয়। বুঝতেই পারছি না আমার বাচ্চাটা গেল কোথায়? আট মাস কোনও খবর নেই, কোথায় আছে কীভাবে আছে। ঘরে টিকতে পারি না
প্রসেনজিত্ সরদার: জীবনতলা থানার ঘুটিয়ারি শরিফের শ্রীকৃষ্ণপুর কলোনি। আকবর মোল্লার একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে পরীক্ষা দিয়ে আর ফেরেনি। গত আট মাস ধরে বাবা-মা পুলিসের দরজায় দরজায় ঘুরছেন। কোনও খোঁজ নেই ওই ছাত্রীর। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও গিয়েছেন। কোনও সুরাহা হয়নি। এবার উচ্চ আদালতে যেতে চায় পরিবার।
আরও পড়ুন-বিপাকে মহুয়া, ৫০০ পাতার রিপোর্টে সাংসদ পদ খারিজের প্রস্তাব এথিক্স কমিটির
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ১৬ বছরের ক্লাস একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী ঘুটিয়ারি শরিফ নারায়ণপুর অক্ষয় বিদ্যামন্দির স্কুলে পড়ত। একাদশ শ্রেণির শেষ পরীক্ষার দিনে সকালে বেরিয়ে যায় পরীক্ষা দিতে। বিকেলে পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে আর ফেরেনি আকবর সেখের একমাত্র মেয়ে। তারপরেই বিভিন্ন জায়গা খোঁজাখুঁজি শুরু। একটা একটা দিন পার হতে থাকে। আকবরবাবু প্রথমে যান ঘুটিয়ারি শরিফ ফাঁড়িতে, পরে জীবনতলা থানায়। এরপর বারুইপুর জেলা পুলিসের কাছে তাদের মেয়ে বাড়িতে ফিরছে না বলে জানান। কিন্তু তার পরেও পুলিস সন্ধান না দিতে পারায় দারস্থ হন আলিপুর আদালতে। এর পাশাপাশি যান মহিলা কমিশনেও। মহিলা কমিশনারের কাছে সুরাহা না মেলায় আকবরবাবুরা শেষপর্যন্ত যান মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে।
ছাত্রীর মা বলেন, প্রতিটি মুহূর্তে ওর কথা মনে হয়। বুঝতেই পারছি না আমার বাচ্চাটা গেল কোথায়? আট মাস কোনও খবর নেই, কোথায় আছে কীভাবে আছে। ঘরে টিকতে পারি না। পুলিসকে গাড়িভাড়া পর্যন্ত দিচ্ছি রেইড করার জন্য। খরচ করেও কোনও ফল হচ্ছে না। পুলিস বলছে, সন্ধান চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ৪ বার গিয়েছি। বলছে, থানায় বলা হচ্ছে। আপনি আপনার মেয়ে পেয়ে যাবেন।
আট মাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় মাঝেমধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়ছেন বাব-মা। পাড়া প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজনরাও মেয়ের সন্ধান দিতে পারেনি। স্থানীয়দের দাবি, মেয়েটি স্কুলে যেত আর বাড়িতে আসত। সেভাবে মেয়ে কোথাও একা একা চলে যেত না। এমন মেয়ে কোথায় গেল। মাঝেমধ্যেই প্রতিবেশীরা তাদের বাড়িতে এসে বাবা,মা কে সান্তনা দিতে থাকে, মেয়ে ফিরে আসবে বাড়িতে। এলাকার প্রধান ও মেয়ের পরিবারের থেকে দাবি করা হচ্ছে, স্থানীয় পুলিস ফাঁড়ি মেয়ের তদন্তের খরচের জন্য টাকা নিচ্ছে। প্রশাসন ঠিকঠাক ভাবে কাজ করছে না এটাও অভিযোগ মেয়ের মা বাবার ও এলাকার প্রধানের। তবে মেয়ে কবে বাড়িতে ফিরবে সেটাই এখন উঠেছে বড় প্রশ্ন। তাই তারা উচ্চ আদালতে দারস্ত হতে চায় পরিবার।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)