নিজস্ব প্রতিবেদন:  পরিবারের সদস্যরা জানতেন পাড়ারই চার বন্ধুর সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল মেয়ে।  কিন্তু সেখান থেকে যে মেয়ে তার প্রাক্তন বিশেষ বন্ধুর সঙ্গে আলাদা বেরিয়ে যায়, তা আর জানতেন না তাঁরা। পরে রাতেই পুকুর থেকে উদ্ধার হয় তরুণীর দেহ।  সোদপুরের ১৬ বছরের তরুণী সায়নী শীলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এখনও কোনও কিনারা করতে পারেনি পুলিস। সায়নীর প্রাক্তন প্রেমিক দীপ ও আরও ৩ বন্ধুকে পাকড়াও করেছে পুলিস। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কালীপুজোর দিন রাতে বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল  সোদপুর দু'নম্বর দেশবন্ধু নগরের বাসিন্দা সায়নী ওরফে মিষ্টি । স্থানীয় স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত বছর ষোলোর সায়নী।   আগরপাড়ার মহাজাতি নগরে মামাবাড়ির কাছাকাছি ঠাকুর দেখতে গিয়েছিল বলে পরিবার সূত্রে খবর।  মামাবাড়ি থেকেই বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যায় সে।  রাত ১ টার পর থেকে বাড়ির লোকেরা আর তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেনি।  যে তিন বন্ধুর সঙ্গে সে বেরোয়, তাদের সঙ্গেও আর যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা।


আরও পড়ুন: স্কুটির লুকিং গ্লাস পাশের গাড়িতে ঠোকা খাওয়ায়  পিছন থেকে একটা ডাক শোনেন স্কুলশিক্ষিকা, তারপরই প্রকাশ্যে...


বৃহস্পতিবার সকালে খড়দা থানায় অভিযোগ দায়ের করে সায়নীর পরিবার। পুলিস এলাকায় তল্লাশি শুরু করে। মহাজাতিনগর এলাকাতেই একটি পুকুর থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। পুকুর পাড়ে পড়ে থাকতে দেখা য়ায় তরুণীর পায়ের চটি। তরুণীর দেহ উদ্ধারের পর পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়, খুন করে জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে তাকে। কিন্তু পুলিস জানিয়েছে, সায়নীর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। আর এখানেই ধোঁয়াশা। তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে সায়নীর? ও কি পা হড়কে জলে পড়ে গিয়েছে নাকি কেউ ঠেলে ফেলে দিয়েছে তাকে? কিন্তু সায়নীর শরীর থেকে জল গিলে ফেলার কোনও নমুনা পাওয়া যায়নি। এদিকে যদি পা হড়কে পড়ে যাওয়ার ব্যাপার থাকে তবে কেন পুকুর পাড়ে তার জুতো পাওয়া গেল? তবে কি সায়নী  জুতো খুলে পুকুরপাড়ে বসে গল্প করছিল? এরকই একগুচ্ছ প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।


আরও পড়ুন: কানে আসছিল ফিসফিসানি, বেহালায় মন্দিরে পুরোহিতকে যুবতীর সঙ্গে যে অবস্থায় দেখলেন স্থানীয়রা!


স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কালীপুজোর রাতে প্রায় ২ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণীকে পুকুর পাড়ে বসে আড্ডা মারতে দেখেছেন তাঁরা। সায়নীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তার তিন বন্ধুকে জেরা করে পুলিস। তখনই উঠে আসে দীপ নামে এলাকারই এক তরুণের কথা। জানা যায়, দীপের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল সায়নীর। ঘটনার দিন দীপের সঙ্গে একা বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটায় সে। দীপকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। জেরায় দীপ জানায়, কালীপুজোর রাতে একসঙ্গে পুকুরপাড়ে বসে মদ্যপান করছিল তারা। তারপর ২টো নাগাদ সে সায়নীকে তার মামাবাড়ির গলির সামনে পৌঁছেও দেয়। সেটা স্থানীয়দেরও বেশ কয়েকজন দেখেছেন বলে দাবি। তবে ওত রাতে পুকুর পাড়ে আবার কেন গেল সায়নী? সায়নী কি তবে দীপ ছাড়াও অন্য কোনও যুবকের সঙ্গে ছিল?


ঘটনাটি খুন, না নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে,  তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।