নিজস্ব প্রতিবেদন : Zee ২৪ ঘণ্টার খবরের জের। দুঃস্থ মায়ারানি বিশ্বাসকে সাহায্য করতে এগিল এল এক ছাত্র। বুধবার আমরাই দেখিয়েছিলাম যে কোদালিয়ায় বঙ্কিম কাননের বাসিন্দা মায়ারানি বিশ্বাসের অসহায়তার কথা। দুঃস্থ মায়রানি বিশ্বাসের দুর্দশার কথা। দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালু হতেই, বৃদ্ধা মায়ারানি বিশ্বাস তাঁর ভাঙা ঘর সারানোর জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও সাড়া পাননি বলে অভিযোগ। অবশেষে Zee ২৪ ঘণ্টায় সেই খবর সম্প্রচারিত হতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসনও। প্রশাসনিক স্তরেও মিলল প্রতিশ্রুতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাধারণ মানুষের অভাব, অসুবিধা, সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকারের তরফে চালু হয়েছে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) প্রকল্প। জায়গায় জায়গায় চলছে ক্যাম্প। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলি সম্পর্কে মানুষকে আরও ওয়াকিবহল করা, তাঁদের কাছে সরকারি সমস্ত প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া-ই এই দুয়ারে সরকার প্রকল্পের আশু উদ্দেশ্য। মানুষের সমস্যা সমাধানে যাতে কোনওভাবে কোনও বিলম্ব না হয়, নেই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তারপরেও মায়ারানি বিশ্বাসের মত বৃদ্ধাদের সমস্যার সমাধান হয়নি। অভিযোগ এমনটাই। 


সরকারের তরফে দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালু হতেই, দেরি করেননি মায়ারানি বিশ্বাস। ছুটে গিয়েছিলেন। নিজের মাথার উপরের ছাদটা একটু মেরামতির আশায়। কিন্তু সেই ভাঙা ঘর সারানোর আবেদনে সাড়া মেলেনি বলেই অভিযোগ তাঁর। এরপরই গতকাল Zee ২৪ ঘণ্টা তুলে ধরে সেই খবর। তুলে ধরে মায়ারানি বিশ্বাসের দুর্দশার ছবি। আর তারপরই এগিয়ে এল জিত্ দত্ত বলে এক ছাত্র।  


কলকাতার কালীঘাটের বাসিন্দা তন্ময় দত্ত। তাঁরই ছেলে জিৎ। গোয়ালপাড়া শান্তিনিকেতন স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র জিত্। টিফিন খরচ বাঁচিয়ে জিত্ আর্তের সেবা করে।  বাবাকে দেখেই সমাজসেবার পাঠ শেখা তার। সমাজসেবী বাবার পথ অনুসরণ করেই সে তার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় সাধ্যমত চেষ্টা করে মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় পাশে থাকার। সমাজসেবী বাবাও ছেলেকে উৎসাহ দেন একাজে। 


জন্ম থেকেই জিৎ মূক। কিন্তু তার জন্য দুঃস্থ মানুষগুলোর পাশের দাঁড়ানোর ইচ্ছে বা প্রয়াস কোনওটাই আটকে থাকে না। চেষ্টা আসে মন থেকে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থেকে নয়। মায়ারানি বিশ্বাসের পাশে দাঁড়িয়ে সপ্তম শ্রেণির জিত্ আজ সেটাই করে দেখাল। আজ ছিল জিতের জন্মদিন। জন্মদিনে বাবাকে নিয়ে সোজা চুঁচুড়ায় মায়ারানি বিশ্বাসের ভাঙা ঘরের দরজায় হাজির জিত্।  ছেলের জন্মদিনে বৃদ্ধা মায়ারানির হাতে শাড়ি, কম্বল, খাবার ও কিছু আর্থিক সাহায্য তুলে দিলেন তন্ময়বাবু। একইসঙ্গে ধন্যবাদ জানালেন Zee ২৪ ঘণ্টাকেও। 


আরও পড়ুন,  দিদিমণির সবচেয়ে আপনজন MIM... আমার স্বাধীনতা কার সঙ্গে জোট করব : আব্বাস সিদ্দিকী