নিজস্ব প্রতিবেদন: বনগাঁর সভামঞ্চে চেনা মমতা ব্যানার্জী! তার শরীরীভাষার মধ্যে সেই ভোট-পূ্র্ব বঙ্গের যুদ্ধং দেহি মেজাজও খানিকটা দেখা গেল। সেখান থেকে নানা ইস্যুতে কখনও নাম করে, কখনও নাম না করে বিজেপি'র দিকে ছুড়ে দিলেন সমালোচনার তির। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বনগাঁর গোপালনগরে প্রশাসনিক সভা থেকে প্রথমেই এনআরসি ইস্যুতে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। হুঁশিয়ারি দেন, এ রাজ্যে বসবাসকারী সবাই নাগরিক, এখানে এনআরসি করতে দেবেন না। কৃষি আইনের বিরুদ্ধেও সরব হন। কৃষিজীবী দরিদ্র মানুষদের লক্ষ্য করে তাঁর বক্তব্য, এমন আইন কেন্দ্র তৈরি করেছে যাতে কৃষকেরা আর আলুসেদ্ধ-ভাতও খেতে পাবেন না!


নানা প্রসঙ্গের অবতারণা করে মুখ্যমন্ত্রী সভামঞ্চ থেকে বিজেপিকে রাজনৈতিক ভাবে লড়াইয়ের ডাকও দেন। এবং সেখানেই কথাপ্রসঙ্গে নাম না করে বিজেপি'র উদ্দেশ্যে বলেন, (বিজেপির) কখনও রামচিমটি, কখনও শ্যামচিমটি কখনও গোবর্ধনচিমটি! কেন এরকম? বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানো এবং ভয় দেখানোর অভিযোগ তোলেন। টাকা না ছড়িয়ে বা ভয় না দেখিয়ে রাজনৈতিক আসরে তাঁর সঙ্গে সরাসরি লড়ার কথাও বলেন তিনি। 


অন্য একটি বিষয়ে সভায় ছন্দপতন ঘটে কিছুটা। কিছুটা মেজাজ হারিয়ে ফেলেন মুখ্যমন্ত্রী। সভা চলাকালীন দর্শকদের মধ্যে থেকে কয়েকজন কোনও একটা দাবি জানান। দর্শকাসন থেকে এরকম সরাসরি দাবিতে কিছুটা বিরক্ত হন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তিনি তাঁদের বক্তব্য শোনেন। এবং জানান, আপনাদের কোনও দাবিদাওয়া থাকলে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে জানান। সম্ভব হলে তার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু এ ভাবে সভার কাজ ব্যাহত করবেন না। এর পর তিনি তাঁর বক্তৃতা চালিয়ে যান।


তবে, সভার একেবারে শেষের দিকে এসেও বোঝা যায় ওই প্ল্যাকার্ড তোলার ব্যাপারটি ভালো ভাবে নেননি তিনি। তখন সরাসরি বলেন, 'কিছু মনে করবেন না, আপনাদের কয়েকজনের জন্য মন খারাপ হয়ে গেল।'  


also read: গুরুচাঁদ-হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে ছুটি ঘোষণা করবে সরকার: মমতা