নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের মোদী-মমতা দ্বৈরথ রাজ্যে। অশান্তির আবহেই মিটেছে সোমবারের পঞ্চমদফার ভোট। আগামি ১২ মে রাজ্যে ষষ্ট দফার ভোট, ভোট হবে তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুরে। বলার অপেক্ষা রাখে না ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতি পর্বও মধ্যগগনে, শেষবেলার প্রচারে ব্যস্ত শাসক থেকে বিরোধী সব পক্ষই। আজ রাজ্যে তিনটি নির্বাচনী সভা করার কথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইতিমধ্যেই  বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে রানিবাঁধে সভা সেরেছেন তিনি। মঞ্চে বাকযুদ্ধ চড়া হয়েছে ক্রমশ। চেনা সুরেই ফের গেরুয়া শিবিরকে তীব্র আক্রমণ হেনেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেখে নেওয়া যাক রানিবাঁধের সভা মঞ্চ থেকে কী বললেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


** মাও সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ বিজেপি, ঝাড়খন্ড, ছত্তিসগড়ে অব্যহত মাও সমস্যা, আমরা জঙ্গলমহল কে মাওবাদী মুক্ত করেছি। 
** রানিবাঁধে কলেজ করেছি, সেচের উন্নতি, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, কিষাণমান্ডি, রাস্তার উন্নতি, জলের ব্যবস্থা সব করেছি আমরা।
** ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প শুরু হয়েছে। তাতে নানান কাজ করা হবে। নল বাহিত পানীয় জলের ব্যবস্থা হবে। এলাকার ২৩ লক্ষ মানুষ নলের জল পাবেন। 
** জেলা পরিষদ কে নির্দেশ দিচ্ছি জল ভরো জল ধরো প্রকল্পের ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হোক। 
** আরও পকুর কাটতে হবে। জলের সমস্যা মেটাতে হবে। মাছ চাষ করতে হবে।
** উন্নয়নের পরিকল্পনা করছি, সময় লাগবে একটু, কিন্তু সব হবে। নিশ্চিন্তে থাকুন। 
** সব ধর্ম মানবো, কিন্তু বিজেপির স্লোগান আমার মুখ দিয়ে বেরবে না। 
** পাঁচ বছরে দাঙ্গা ছাড়া একটা কাজও করতে পারেনি বিজেপি। দাঙ্গাবাজ নরেন্দ্র মোদীকে একটা ভোটও না।
** এরা এলে দেশে কিচ্ছু হবে না। দেশ পরাধীন হবে। দেশের সব চেয়ে বড় দুর্যোগ নরেন্দ্র মোদী।


আরও পড়ুন: ভারতের মানুষ 'জয় শ্রী রাম' বলবে না তো কি পাকিস্তানের মানুষ বলবে? প্রশ্ন অমিত শাহের


** দুর্গাপুজোর নাম করে মা কালির ছবি দিয়ে দেয়। এদিকে ধর্মের নামে দাঙ্গা বাঁধায়।
** কতবার বন্যা হয়েছে, তবু কোনও দিন বাংলামুখো হয়নি। কোনওদিন টিকি পাওয়া যায়নি আর এখন বসন্তের কোকিল হয়ে এসেছে, বলছে মিত্রোঁ ভোট দে দো, কেন ভোট দেবে?
** এখন ব্যাঙ্কের নোট বাতিল করেছে কোনটি ব্যাঙ্ক বাতিল করে দেবে।


এদিন একাধিকবার রুখাশুখা বাঁকুডার জল সমস্যা মেটাতে বিশেষ নজর দেওয়ার আশ্বাস দেন নেত্রী। তবে শেষ পর্যন্ত দিল্লির মসনদ কার হয়, সেদিকেই তাকিয়ে বঙ্গ রাজনীতি তথা সমগ্র দেশ। উল্লেখ্য, মমত, শাহ ছাড়াও আজ ফের বাংলায় নির্বাচনী সভা করলেন রাহুল গান্ধীও। সব মিলিয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না ভোটের সুর চড়ছে সপ্তমেই।