নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়ে জেলা প্রশাসনের কাজ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। দুয়ারে সরকার থেকে জমির মিউটেশন, জেলায় পড়ে থাকা প্রকল্প থেকে পুলিসের কার্যকলাপ-একাধিক বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রশাসনিক সভায় অভিযোগ ওঠে ইটভাটার শুল্ক আদায় নিয়ে। এ ব্যাপারে  হুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, ইটভাটা থেকে যে শুল্ক আদায় হয় তা ঠিকমতো জমা পড়ে না সরকারের ঘরে। ২৫ হাজার টাকা আদায় হলে ১০ হাজার টাকা জমা পড়ে। বাকীটা পকেটে ঢুকে যায়। ওই কথা শুনেই রেগে যান মুখ্যমন্ত্রী। জেলা শাসকের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডিএম তুমি শুনতে পাচ্ছে? এটা তৃণমূল করেনি। প্রশাসনের নীচুতলায় যারা শুল্ক আদায় করে তারা সেই টাকা সরকারের ঘরে জমা দেয় না। কিছুটা দেয়। বাকীটা নিজেরা খেয়ে নেয়। কী জেলা চালাচ্ছো তুমি! এতদিন ধরে আছো! আমার ধারনাটাই বদলে গেল। এতকিছু দিচ্ছি মানুষকে। অথছ কিছু লোক এত লোভী কেন! আমার পার্টির লোক হলে টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম। এদের আমি সব সময় শাসন করি।


এসটিদের জায়গা অন্যদের নামে রেকর্ড হয়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। পাট্টা দেওয়া হলেও জায়গাগুলি চিহ্নিত করা হয়নি। এনিয়ে মমতা বলেন, এরকম হলে সেই বিএলআরও-র বিরুদ্ধে এফআইআর হবে। উপজাতিদের জমি হস্তান্তর করা যায় না। 


এদিনের বৈঠকে দুয়ারে সরকার-এ জমির মিউটেশনের উপরে জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর জন্য প্রশাসনের কর্তাদেরই মানুষের কাছে যেতে হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। উদাহরণ হিসেবে মমতা বলেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ডিএম নৌকো করে মানুষের দরজায় গিয়ে দুয়ারে সরকারের ফর্ম পৌঁছে দিয়েছেন। ইনোভেশন কেন নেই! শুধু অযোধ্যা পাহাড়ে দুটো রাস্তা করে দিলাম, তা হলেই হয়ে গেল! আসলে তুমি কমিউনিকেশন করতে পারছো না। আমরা মিউটেশন ফ্রি করে দিয়েছি, অনলাইন করে দিয়েছি। তারপরেও অনেকে তাদের নাম লেখাতে পারছেন না কেন! ডিএলআরওকে নিয়ে ডিএমকে এই ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি আদিবাসী গ্রামে যেতে হবে। আগামী ৩ মাসে সবার জমির মিউটেশন হতে হবে। দরকার হলে এর জন্য আলাদা করে দুয়ারে সরকারও হবে। বিডিওদের এনিয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।


পাশেই রয়েছে ঝাড়খণ্ড সীমান্ত। ফলে ওই রাজ্য থেকে পুরুলিয়া ঢোকার রাস্তাগুলিতে জেরাদার তল্লাশির উপরে জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলার আইসিদের মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন, ঝাড়খণ্ড থেকে আসা ট্রাকগুলো ভালো করে চেক করেন! নাকি পাস দিলেই টাকা! নাকা চেকিং হয়? ওসিরা এলাকায় টহল দেন! এসপি এলাকায় সারপ্রাইজ ভিজিট করেন?


আরও পড়ুন-Mamata In Purulia: বহু প্রকল্প 'আন্ডার প্রসেস', বড্ড চালাকিতে কাজ হচ্ছে, জেলা প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি মমতার


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)