নিজস্ব প্রতিবেদন: আদিবাসী দিবসে রাজ্যের আদিবাসীদের সরকারের উপর আস্থা রাখতে অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামে মমতা বলেন, "কোনও উস্কানি, অপপ্রচারে কান দেবেন না। কোনও অভিযোগ থাকলে আমাদের বলুন। আমরাই সমস্যার সমাধান করব"। এদিন মমতার বক্তৃতায় 'উস্কানিতে কান না দেওয়ার আহ্বান'-কে বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর এদিন আদিবাসীদের নিয়ে সভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সফর ঘিরে উত্সাহ-উদ্দীপনা ছিল তুঙ্গে। আদিবাসী দিবসের মঞ্চ ব্যবহার করে মুখ্যমন্ত্রী ঠিক কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহল। বেলা ১টা ৪০ মিনিটে মঞ্চে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিনিট দশেকের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যায় তাঁর এদিনের বক্তৃতার নির্যাস।


আরও পড়ুন: গাড়ির কাঁচ ভেঙে ঢুকে গেল পাথর, দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার পথেই মারাত্মক ঘটনা দিলীপ ঘোষের সঙ্গে!


সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রধান বিরোধী দল হিসাবে উঠে আসা বিজেপির বিরুদ্ধে যে এদিন মমতার গলায় চড়া সুর শোনা যাবে, তা আঁচ করা গিয়েছিল আগেই। এদিনের সভায় প্রথম দিকে বিজেপির নাম না করলেও পরে নাম করেই বিজেপি-কে চাঁচাছোলা ভাষায় বিদ্ধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘নির্বাচনের সময় কিছু লোক এসে ভুল বোঝাচ্ছে। এক হাজার টাকা দিয়ে বলছে, তাদের ভোট দিতে। কিন্তু, সেসব কথায় কান দেবেন না আপনারা। ওরা কেউ পাশে থাকবে না আপনাদের।" তিনি আরও বলেন, "কেউ কেউ ঝাড়খণ্ড থেকে লোক ঢোকাচ্ছে ঝাড়গ্রামে। মাওবাদীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। কোনও ভাগাভাগি, দলাদলির কথায় কান দেবেন না। দয়া করে আপনারা ওদের সাপোর্ট করবেন না। আমাদের ছাড়া, অন্য কাউকে বিশ্বাস করবেন না। আদিবাসী গ্রামগুলিতে নজর রাখুন।’’


এরপরই বিজেপির নামে ফের কটাক্ষের সুরে বলেন, "বাইরের রাজ্যে দলিত, আদিবাসীদের ওপর হামলা হচ্ছে, খুন হচ্ছেন অনেকে। ওসব বিজেপির রাজ্যে হয়, আমাদের রাজ্যে নয়। যারা মাওবাদীদের প্রশ্রয় দেন, তাদের এলাকায় ঢুকতে দেবেন না।" 


আদিবাসী দিবসে ঝাড়গ্রামকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় 'উপহার' দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি আরও ঘোষণা করেন, এবার স্কুলগুলিতে অলিচিকি ভাষাতে ২০০ শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। অলিচিকিতে পাঠ্য বইও প্রকাশ করেছে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পে স্কলারশিপও দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।