নিজস্ব প্রতিবেদন : উত্তপ্ত ভাঙড়ে ফের প্রাণহানি। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক নির্দল সমর্থকের। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর খানিকক্ষণের মধ্যেই পুলিস পৌঁছেছে আরাবুলের বাড়িতে। শুক্রবার জি ২৪ ঘণ্টার স্টুডিওয় মুখ্যমন্ত্রী জানান, একটি ঘটনায় তিনি আরাবুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরই এই গ্রেফতারির তোড়জোড়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। জমিরক্ষা কমিটির মিছিলের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে আরাবুল অনুগামীদের বিরুদ্ধে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় হাফিজুল মোল্লা নামে এক নির্দল সমর্থকের। জি ২৪ ঘণ্টায় একান্ত সাক্ষাত্কার দিতে আসার পথেই সেই খবর পান মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘটনায় স্টুডিওয় বসেই ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।


আরও পড়ুন, 'সুপারি দিয়ে আমাকে খুনের চক্রান্ত চলছে', চাঞ্চল্যকর দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতার


জি ২৪ ঘণ্টার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কারে এদিন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ভাঙড়ে আরাবুল একটা ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি ওকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছি।" ভাঙড়ে অনেক মাওবাদীরাও আস্তানা গেড়েছে বলে এদিন অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরই আবার আরাবুল বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি। বলেন, "ওকে কে করতে বলেছে এটা? কেউ তো ওকে এটা করার অধিকার দেয়নি।"


বিরোধীদের দিকে হিংসার আঙুল তোলার আগে তিনি যে নিজের দলের কর্মী-সমর্থকদের সংশোধন চান, এদিন স্টুডিওয় বসে সেই বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, "চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম। আগে তো ঘর সামলাই, তারপর পর।"


আরও পড়ুন, মমতার অবর্তমানে তৃণমূলের উত্তরাধিকারী কে? খোলাখুলি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী


এদিকে, ভাঙড়ের প্রাণহানির ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিস সুপার ও জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এই ঘটনার সঙ্গে ভোটের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চায় কমিশন।