নিজস্ব প্রতিবেদন: গাড়িতে করে বাইরে থেকে অস্ত্র-টাকা ঢোকানো হচ্ছে। চলছে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা। কৃষ্ণনগরের প্রশাসনিক বৈঠকে নাম না করে বিজেপিকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিসকে নির্দেশ দিলেন, সতর্ক থাকতে। জোর দিলেন নাকা চেকিংয়ের ওপর। জেলায় সরকারি প্রকল্পের রূপায়ন নিয়েও অসন্তোষ চেপে রাখলেন না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুনীর্তি। প্রশাসন হোক বা দল। গত কয়েক বছরে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে এই অসুখ। নদিয়া জেলাও ব্যতিক্রম নয়। বর্ধমান -বীরভূম থেকে পাথর বোঝাই লরি ঢুকছে এই জেলায়। আর এক শ্রেণির পুলিসকর্মীদের মদতে গ্রামের রাস্তা দিয়ে লুকিয়ে চলছে পাচার। পুরোটাই যে তাঁর নজরে রয়েছে প্রশাসনিক বৈঠকে বোঝালেন মুখ্যমন্ত্রী। সতর্ক করলেন পুলিসকে।


আরও পড়ুন- রাজ্যের চালু রেল প্রকল্পগুলিতে বরাদ্দ বাড়াল কেন্দ্র


বুধবার বর্ধমানে চার বিজেপি নেতা অস্ত্র সমেত গ্রেফতারও হয়েছে। প্রশাসনিক বৈঠকে সেকথা টানলেন। দরজার কড়া নাড়ছে পুরভোট। তার আগে উন্নয়নের কাজে কোনও ঢিলেমি বরদাস্ত নয়। বুঝিয়ে দিলেন। পথবন্ধু প্রকল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেতে হল  আধিকারিকদের।


ICDS, শস্যবিমা, কৃষকবন্ধু, সংখ্যালঘুদের স্কলারশিপ। সরকারি প্রতিটি প্রকল্প জেলায় কতটা রূপায়িত হয়েছে? ধরে ধরে খতিয়ান নিলেন। কন্যাশ্রীর ক্ষেত্রে কয়েকটি স্কুলের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠছে। খোঁজ নিতে বললেন প্রশাসনিক আধিকারিরদের। জেলাপরিষদের টেন্ডার কে পাবে? তা নিয়ে দলাদলির অভিযোগ ভুরি ভুরি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ করতে হবে। একদিকে দুর্নীতি রোখার কড়া দাওয়াই, অন্যদিকে উন্নয়নের কাজে আরও একটু জোর। পুরভোটের আগে কৃষ্ণনগরের প্রশাসনিক বৈঠকে দুই অস্ত্রে শান দিয়ে আম নদিয়াবাসীর মনজয়ের চেষ্টা করে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী।