CBI Raid At Moloy Ghatak House: `অসুস্থ বৌদিকে দেখতে এসেছি`, মলয় ঘটকের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা তৃণমূল মহিলা কাউন্সিলরদের
কয়লাকাণ্ডে ইডি তদন্ত শুরু করার পর মলয় ঘটকের নাম উঠে আসে। এরপরই একাধিকবার ময়ল ঘটককে তলব করে ইডি। তবে তার মধ্যে একবার তিনি দিল্লিতে গিয়ে হাজিরা দেন। তারপর আর যাননি
অয়ন ঘোষাল ও বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: কয়লা পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার ডাইরিতে মিলেছে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের নাম। সেই সূত্রে কলকাতা ও আসানসোল-সহ মোট ৭ জায়গায় হানা দিল সিবিআই। আসানসোলের আপকার গার্ডেন ও চেলিডাঙ্গার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় সিবিআই। আপকার গার্ডেন ওয়েস্ট মলয় ঘটকের তৃতীয় বাড়িতেও তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। তৃতীয় বাড়িতে চাবিওয়ালা এনে আলমারি খোলার চেষ্টা করেন সিবিআই অফিসাররা। কয়লা পাচার মামলায় একাধিকবার মলয় ঘটককে তলব করেছে সিবিআই কিন্তু একবারও তিনি হাজিরা দেননি। আসানসোল ছাড়াও মলয় ঘটকের কলকাতার মন্ত্রীর কোয়ার্টারে,তাঁর প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বাড়ি, আলিপুর-সহ মোট ৭টি জায়গায় হানা দেয় সিবিআই। মন্ত্রীর কোয়ার্টারে মলয় ঘটককে জেরা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁর অসুস্থ স্ত্রীকেও জেরা করা হচ্ছে বলে খবর। ময়ল ঘটকের শ্যালিকা ডাক্তার পরিচয় দিয়ে তাঁর বাডিতে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে সেখানে ঢুকতে দেয়নি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সিবিআই হানার প্রতিবাদে আসানসোলে বিক্ষোভ দেথায় তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা।
আরও পড়ুন-খুনের আগে হোটেলে 'মিটিং' সতেন্দ্রর, কাজ হলে মোটা পারিশ্রমিকের প্রতিশ্রুতি
আসানসোলে মলয় ঘটকের মোট ৩টি বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তারপর সিবিআই আধিকারিকরা যান যে বাড়িতে মলয় ঘটকের স্ত্রী ছিলেন সেখানে। পাশাপাশি, মলয় ঘটকের ওইসব বাড়ির আলমারি ও অন্য়ান্য জায়গায় তালা ভাঙা শুরু হয়। ঘনঘন কিছু ভাঙার শব্দ আসতে তাকে। কিন্তু ঘটনা নাটকীয় মোড় নেয় যখন ৮১ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরমাতা মলয় ঘটকের বাড়ির গেটে গিয়ে দাঁড়ান ও নিজেকে চিকিত্সক বলে পরিচয় দেন। তিনি দাবি করেন, এমনিতেই মলয় ঘটকের স্ত্রী অসুস্থ, সিবিআইয়ের জেরায় যদি তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে তাঁকে দেখভাল করার জন্য তিনি এসেছেন। পরে দেখা যায় তিনি আদৌ কোনও চিকিত্সক নন। তিনি আদতে পৌরমাতা। পরে দেখা যায় জিটি রোডের উপরে দফায় দফায় সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। শুধু তাই নয় আসানসোল পৌর নিগমের একাধিক মহিলা কাউন্সিলর এসে একপ্রকার জোর করে মলয় ঘটকের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাঁদের দাবি, অসুস্থ বৌদি সকাল থেকে সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হয়েছেন। আমরা তাঁকে দেখতে এসেছি। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাড়ির গেটে নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্য়া বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআইয়ের হানা কেন এতটা গুরুত্বপূর্ণ? কয়লাকাণ্ডে ইডি তদন্ত শুরু করার পর মলয় ঘটকের নাম উঠে আসে। এরপরই একাধিকবার ময়ল ঘটককে তলব করে ইডি। তবে তার মধ্যে একবার তিনি দিল্লিতে গিয়ে হাজিরা দেন। তারপর আর যাননি। এবার সিবিআই মলয় ঘটককে কোনও নোটিস দেয়নি। সরাসরি তার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে জেরা করে মলয় ঘটক সম্পর্কে একাধিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি তার ডাইরিতেও মিলেছে মলয় ঘটকের নাম।