রাজীব চক্রবর্তী: চালকের কোনও ভুল ছিল না। বরং রেল পরিচালনার ত্রুটিতেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। এমনটাই রিপোর্ট দিল কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি বোর্ড। ওই রিপের্টে বলা হয়েছে ট্রেন চালানোর জন্য চালকদের যে নথি দেওয়া হয়েছিল তা যথেষ্ট ছিল না। ওয়াকটিকির মতো গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসও ছিল না। এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-২ সপ্তাহের 'ডেডলাইন', এসএসসি মামলায় 'সুপ্রিম' নির্দেশ! বড় আপডেট...


গত ১৭ জুন কাটিহার ডিভিশনে রাঙাপানি স্টেশনের কাছে দাঁড়িয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সেইসময় পেছন থেকে এসে একটি মালগাড়ি এসে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ধাক্কা মারে। কাঞ্চনজঙ্ঘার দুটি বগি উপরের দিকে উঠে যায়। মৃত্যু হয় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ড সহ ১০ জনের। আহত হন ৫০ জন।


ওই দুর্ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রেলের তরফে বলা হয় মালগাড়ির চালকের ভুলেই ওই ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সেই দাবি উড়িয়ে দিল রেলওয়ে সেফটি বোর্ডের রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে, টিএ ৯১২ এর পরিবর্তে সিডি ৯১২ দেওয়া উচিত ছিল, পর্যাপ্ত ওয়াকিটকি ছিল না, সামগ্রিক ট্রেন পরিচালনায় ত্রুটি ছিল, ট্রেন চালকের জন্য যথেষ্ট সংখ্য়ক মেমো ছিল না, শুধু কাঞ্চনজঙ্গা ও মালগাড়িই নয়, ওই লাইনে ঢুকে পড়েছিল আরও একটি ট্রেন। যার ফলে ঘটতে পারতো আরও বড় দুর্ঘটনা।


রিপোর্টে বলা হয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে দেখে ব্রেক কষেছিলেন মালগাড়ির চালক। তার পরেও দুর্ঘটনা এড়ানো যায়নি। কারণ দুটি ট্রেনের মধ্যে দূরত্ব কম ছিল। প্রশ্ন তোলা হয়েছে অতিরিক্ত গতিতে কেন ট্রেন চালিয়েছিলেন মালগাড়ির চালক। অটোমেটিক সিগন্যালিং ব্যবস্থায় কীভাবে ট্রেন চালানো উচিত সেই সম্পর্কিত উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ছিল না ওই অংশের রেলকর্মীদের।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)