ভোটে ৪ রাজ্য থেকে বাহিনী নিশ্চিত, আজই চূড়ান্ত হবে বুথ প্রতি পুলিসকর্মীর সংখ্যা
সাধারণত, প্রতি বুথে ৪ জন করে সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মী দেওয়ার কথা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটে বাহিনী পাঠাতে সম্মত হল ৪ রাজ্য। পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তায় বাহিনী চেয়ে ৫ রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিল নবান্ন। জানা যাচ্ছে, ৫ রাজ্যের মধ্যে ৪ রাজ্যের কাছ থেকেই মিলেছে সদর্থক উত্তর। তবে কোন রাজ্য থেকে কত করে বাহিনী আসছে সেই সংখ্যাটা এখনও চূড়ান্ত নয়।
বুধবার নবান্নে ডিজি, সুরজিত্ করপুরকায়স্থ ও এডিজি আইন-শৃঙ্খলা, অনুজ শর্মা দফায় দফায় নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন। ৫ রাজ্যের সঙ্গে বেশ কয়েকবার ফোনে কথা বলেন তাঁরা। এরপরই ৪ রাজ্য থেকে বাহিনী আসার ব্যাপারে সুনিশ্চিত হয় নবান্নে। যদিও কোন রাজ্য থেকে কত কম্পানি করে বাহিনী আসবে, সেই সংখ্যাটা এখনও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।
৪ রাজ্য থেকে বাহিনী আসার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর ফের বৈঠকে বসেছেন রাজ্য পুলিসের পদস্থ কর্তারা। ভিন রাজ্যের বাহিনী, পশ্চিমবঙ্গ পুলিস, কলকাতা পুলিস, আবগারি দফতর, কারা দফতর মিলিয়ে মোট কত বাহিনী রাজ্যের হাতে আছে,তার একটা খসড়া প্রস্তুত করা হবে। এই রিপোর্ট-ই মুখ্যসচিবের হাতে তুলে দেবেন ডিজি।
আরও পড়ুন, ভোটে বাহিনী চেয়ে ৫ রাজ্যকে চিঠি পাঠাল নবান্ন
প্রসঙ্গত, এদিন-ই পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তা চূড়ান্ত করতে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে নবান্নে বসছে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিসের ডিজি সুরজিত পুরকায়স্থ, এডিজি আইন-শৃঙ্খলা ও পঞ্চায়েত দফতরের ওএসডি সৌরভ দাস । বাহিনীর রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই বুথ ভিত্তিক কোথায় কত বাহিনী দেওয়া সম্ভব হবে, তার একটা ছবি সামনে আসবে। সেই রিপোর্ট তৈরি করবে নবান্ন।
সাধারণত, প্রতি বুথে ৪ জন করে সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মী দেওয়ার কথা। কিন্তু একদফায় ভোটের ক্ষেত্রে রাজ্যের মোট ৫৮, ৪৬৭টি বুথের প্রতিটিতে কোনওমতেই ৪ জন করে সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মী দেওয়া সম্ভব হবে না, বলে মত ওয়াকিবহল মহলের। সেক্ষেত্রে অতি স্পর্শকাতর বুথে ২ জন ও স্পর্শকাতর বুথে ১ জন করে সশস্ত্র পুলিসকর্মী দেওয়া হতে পারে। আর বাকি ক্ষেত্রে ভোটকেন্দ্র প্রতি সশস্ত্র পুলিসকর্মী মোতায়েন করা হতে পারে।
সমস্ত হিসেব-নিকেশ কষে নবান্ন রিপোর্ট তৈরি করে তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দেবে। কমিশন সেই রিপোর্ট শুক্রবার হাইকোর্টে জমা দেবে। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, হাইকোর্ট তার পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেয় কমিশনকে। এই নির্দেশের পরই কমিশন ডিজিকে স্পষ্ট জানায়, একদফায় ভোটের ক্ষেত্রে ৪৬ হাজার সশস্ত্র পুলিস যথেষ্ট নয়।
আরও পড়ুন, ৪৬ হাজার সশস্ত্র পুলিস দিয়ে নির্বাচন করানো সম্ভব নয়, ডিজিকে স্পষ্ট বার্তা কমিশনের
কমিশন রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর হাইকোর্টেই নিশ্চিত হবে পঞ্চায়েত ভোটের ভাগ্য। ১৪ মে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আদৌ সম্ভব কিনা, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে ডিভিশন বেঞ্চ।