নিজস্ব প্রতিবেদন: CAA-NRC-র বিরোধিতায় ডাকা বনধ। আর তা ঘিরেই ধুন্ধুমার জলঙ্গির সাহেবনগরে।  এলোপাথাড়ি গুলি, বোমায়  প্রাণ গেল দুই গ্রামবাসীর। হাসপাতালে ভর্তি আরও কয়েকজন।  তৃণমূলকে দুষছেন বাসিন্দাদের একাংশ। হামলার সঙ্গে যোগ নেই। পাল্টা দাবি তৃণমূলের। গুলি নয়, স্প্লিন্টারের আঘাতেই মৃত্যু। দাবি এডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিংয়ের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনাটা কী?


জ্বলছে বাইক। তালগোল পাকানো গাড়ি। গুলিবিদ্ধ দেহ। সিএএ, এনআরসি বিরোধী বনধকে ঘিরে  রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সাহেবনগর। CAA-NRC -র প্রতিবাদে জলঙ্গির সাহেবনগরে বনধ ডাকে সংখ্যালঘু একটি সংগঠন।সক্কাল সক্কাল বনধের সমর্থনে চলছিল রাস্তা অবরোধ। সকাল নটা। আচমকা বদলায় পরিস্থিতি। মারুতি থেকে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে শুরু হামলা। মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে। তারপর এলোপাথারি গুলি। বুলেট ফুঁড়ে দেয়  বছর সতেরোর আনারুল বিশ্বাস ও সত্তর বছরের সালাউদ্দিন শেখকে। লুটিয়ে পড়েন দুজন। গুলি লাগে আরও কয়েকজনের গায়ে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে তাঁদের চিকিত্সা চলছে।


হামলা চালাল কারা?


স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, হামলার নেপথ্যে জলঙ্গির তৃণমূল ব্লক সভাপতি। তহিদুলের দিকে আঙুল তুলছেন বিরোধীরা।


কংগ্রেস:


তৃণমূল ব্লক সভাপতিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বিবৃতি দিয়ে জানান, মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির সাহেব নগরে যেভাবে CAA এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের উপর রাজ্যের শাসকদল  তৃণমূলের নেতৃত্বে বোমা-গুলি চালিয়ে  প্রতিবাদকারীদের প্রাণে মেরে ফেলা হলো, তাতে আবার এটাই প্রমাণ হয় যে উত্তর প্রদেশের যোগী সরকারের সাথে এ রাজ্যের 'দিদি'র সরকারের কোনো ফারাক নেই ; বরং উভয় দল এবং উভয় সরকারই একই মুদ্রার দুই পিঠ মাত্র।


আরও পড়ুন- করোনা মোকাবিলায় ‘রাতারাতি’ হাসপাতাল তৈরি করছে চিন, নজির বিশ্বের কাছে


বাম:


সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, রাজ্যের শাসকদল মুখে সিএএ বিরোধিতার কথা বললেও বারেবারে এরাজ্যে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের বিরুদ্ধে মোদী সরকারের হয়েই দমনমূলক ভূমিকা নিয়েছে, প্রতিবাদের কন্ঠরোধ করতে বিজেপি’র হয়ে মাঠে নেমেছে তারাই।


যদিও, ঘটনার সঙ্গে তাদের নেতাদের কোনওরকম যোগ থাকার কথাই মানছে না  তৃণমূল কংগ্রেস।