মৃত্যুঞ্জয় দাস: অবশেষে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার ক্ষমতা দখল করল কংগ্রেস। নতুন চেয়ারম্য়ান হলেন শীলা চট্টোপাধ্য়ায়। কংগ্রেস বিধায়ক তপন কান্দুর খুনের পর থেকেই ডামাডোল চলছিল ঝালদা পুরসভায়। মামলা ওঠে হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে আজ পুরসভার চেয়ারম্য়ান নির্বাচনে ৭-০ ব্যবধানে জিতে পুরসভা দখল করল কংগ্রেস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-নিশানায় প্রতিবেশী প্রমোটার, গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য বেহালায়


মোট ১২ আসনের ঝালদা পুরসভায় ছিলেন ৬ কংগ্রেস কাউন্সিলর, ১ জন নির্দল ও ৫ তৃণমূল কাউন্সিলর। ভোটাভুটিতে জয়ী হল কংগ্রেস। চেয়ারম্য়ান হলেন নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। তিনি অবশ্য আগেই কংগ্রেসে যোগ দেন। আজ ভোটদানের সময়ে অন্য এক নির্দস কাউন্সিলরও কংগ্রেসেকে ভোট দিয়ে দেন। অন্যদিকে, ভোটে অংশ নেননি তৃণমূল কাউন্সিলররা। এনিয়ে মুখ খুলতে রাজী নন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।  


উল্লেখ্য, ঝালদা পুরসভার ভোটে ১২ আসনের মধ্যে ৫টি কংগ্রেস, ৫টি তৃণমূল ও ২ আসন পায় নির্দল। বোর্ড ঘটন করে তৃণমূল। তারপর চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে কংগ্রেস। ভোটভুটিতে পরাজিত হয় তৃণমূল। কিন্তু বোর্ড গঠন করতে পারেনি কংগ্রেস। শেষপর্যন্ত তৃণমূলের এক কাউন্সিলরকে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। তার পর থেকে ফের অসন্তোষ শুরু। প্রশাসক বসানোর বিরুদ্ধে মামলা করে কংগ্রেস।


শাসক দলের বিরুদ্ধে লড়াই করে পুরসভা দখলকে বড় জয় বলেই মনে করছে কংগ্রেস। কারণ কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের পর যেভাবে পুরসভা নিয়ে দড়ি টানাটানির পর পুরসভা হাতে এসেছে তাতে উত্সাহী জেলা নেতৃত্ব। 


ঝালদা পুরসভা দখল নিয়ে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, অহেতুক একটা হাঙ্গামা বাধানোর চেষ্টা হয়েছিল। এ এক অদ্ভুত মানসিকতা। একটা গণতান্তিক পদ্ধিতিকে সন্মান জানানোর প্রয়োজনীয়তা ওরা বোধ করে না। গায়ের জোরে এসব করা হয়েছিল। ওখানে নেপাল মাহাতোর নেতৃত্বে ঘৃণার রাজনীতিকে প্রতিহত করেছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)