নিজস্ব প্রতিবেদন:   কুখ্যাত  ডাকাত কর্ণ বেরার ছোড়া বোমায়  জখম  কাঁথির এএসআই-এর লড়াই শেষ হল। বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে মৃত্যু হয় সুশান্ত রানার ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: পা গুঁড়িয়ে দিয়েছিল হাতি, দুঃস্থ সইদুলকে সুস্থ করতে পাশে বনদফতর


প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরের ৪ তারিখ আদালতে তোলা হচ্ছিল কর্ণ বেরাকে। সেদিন তার সঙ্গে ছিল আরও চার বিচারাধীন বন্দি। অভিযোগ, সেসময় আচমকাই বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে  জিআরও সুশান্ত রানার মাথায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারে কর্ণ। এরপর বোমা ছুড়তে ছুড়তে পুলিসের হাত ফস্কে বেরিয়ে যায় সে।  কিছু দূরেই দুই  যুবক বাইক নিয়ে তার জন্য অপেক্ষা করছিল। ওই দুই যুবক তাকে বাইকে বসিয়ে নিয়ে চম্পট  দিয়েছিল। যদিও তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের পুলিসের জালে ধরা পড়ে যায় কর্ণ।


আরও পড়ুন: চোলাইয়ে কড়া রাজ্য, এবার নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হল স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকেও


 


কর্ণের ছোড়ার বোমার স্প্লিন্টার সুশান্ত রানার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছিল। সেদিন থেকেই হাসপাতালের বেডে শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ কয়েকদিনে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। চিকিত্সায় সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। শরীরের একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। এদিকে, কয়েকদিন আগেই আদালত  কর্ণ বেরাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে।


এবার প্রশ্ন কে এই কর্ণ বেরা?


কাঁথির বাসিন্দা কর্ণ কুখ্যাত ডাকাত।  কয়েক বছর আগে মহিষাদলে পুলিস কনস্টেবল নবকুমার মাইতিকে খুন করে অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও একাধিক ডাকাতি ও খুনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কনস্টেবল খুনে সোনারপুর থেকে পুলিস তাকে গ্রেফতার করে। তখন থেকে কাঁথি আদালতেই বিচারাধীন ছিল  কর্ণ।   এর আগে তিন বার জেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে  কর্ণ।  কিন্তু প্রতিবারই পুলিসের কাছে ধরা পড়ে যায় ।