ওয়েব ডেস্ক : আবার খবরে ধৌলাগিরি অভিযান। তবে এবার মৃত্যুর জন্য নয়। নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে আসার জন্য। ডেথ জোনে নিজের জীবন বাজি রেখে এক ITBP জওয়ানকে বাঁচিয়েছেন বাঙালি পর্বতারোহী দীপঙ্কর ঘোষ। অভিযোগ, ITBP তা মানতে চাইছে না। উলটে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত জওয়ানকে গ্যালান্ট্রি অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার কথা ভাবছে তারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


সংবাদ সংস্থা DNA-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ধৌলাগিরি শৃঙ্গ জয় করে ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন ITBP-র হেড কনস্টেবল কৃষ্ণপ্রতাপ গুরুং। ডেথ জোনে নিজেদের সামিট অসমাপ্ত রেখে তাঁকে উদ্ধার করেন দুই সহকর্মী হিমভির নরেন্দ্র কুমার ও বিমান বিশ্বাস। হেডকনস্টেবল হিমভির ও কনস্টেবল বিমানকে তার জন্য শৌর্য পুরস্কার দেওয়ার কথা ভাবছে ITBP।  আর এখানেই বিতর্ক। যে বিমান বিশ্বাসকে হিরো বানাচ্ছে ITBP, দুর্গম ধৌলাগিরিতে তিনিই মরতে বসেছিলেন। তাঁকে বাঁচিয়েছেন এক অসামরিক পর্বতারোহী ...এভারেস্টজয়ী দীপঙ্কর ঘোষ।



২০ মে বিকেল ৪টে ১২ মিনিটে ধৌলাগিরি শৃঙ্গ জয় করেন দীপঙ্কর ঘোষ। ফেরার পথে ৮ হাজার মিটার উচ্চতায় ডেথ জোনে ITBP কনস্টেবল বিমান বিশ্বাসকে মুমুর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। ডেথজোনে বেশিক্ষণ থাকা নিরাপদ নয়। সতর্ক করেছিলেন শেরপা। কিন্তু নিজের নিরাপত্তার চেয়ে মানবিকতার ডিউটি বরাবরই দীপঙ্কর ঘোষের কাছে বড়।


দীপঙ্কর ঘোষের চেষ্টাতেই বিমানকে ক্যাম্পে নামিয়ে আনা হয়, তখনও কোনও ITBP-র দেখা নেই। হাতের সাতটা আর পায়ের দুটো আঙুল ফ্রস্ট বাইটে ক্ষতবিক্ষত। উদ্ধারের খেসারত এভাবেই দিতে হয়েছে। ৮ হাজার ১৬৭ মিটার উচ্চতায় একজন সিভিলিয়ান জীবন বাজি রেখে এক সামরিক কর্মীকে উদ্ধার করছেন এটাও তো কম গৌরবের নয়! কিন্তু তার স্বীকৃতি মিলল না। অসুস্থ বিমানের খবর নিতে ফোন করেছিলেন। তখনই স্পষ্ট হয়ে গেল সব। ওই জওয়ান জানিয়ে দেন, 'তিনি নাকি তাঁর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে গোটা বিষয়টি জানিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁকে তা সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলতে বারন করে দেওয়া হয়। গোটা বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় ওপর মহল থেকে।' 



আসল সত্য বন্দি হয়ে রইল সপ্তম উচ্চতম শৃঙ্গের তুষার সাম্রাজ্যে। দীপঙ্কর ঘোষের কোনও আপশোস নেই। তাঁর তৃপ্তি, মানুষ হিসেবে যেটুকু করার সেটুকু তিনি করেছেন।