Cooch Behar: দলের বিরুদ্ধাচরণ, কোচবিহারে পঞ্চায়েত সদস্য সহ ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল TMC
দলীয় ব্লক নেতৃত্বের অঙ্গুলিহেলনে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসে তা পাস করিয়েছেন। দল তাঁদের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয় না।
নিজস্ব প্রতিবেদন : দল বিরুদ্ধ কাজের জন্য 8 পঞ্চায়েত সদস্য সহ ব্লক সভাপতিকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। ঘটনাটি কোচবিহারের সিতাইয়ের।
কোচবিহারের দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের বড় শোলমারী গ্রাম পঞ্চায়েতে কিছুদিন আগেই তৃণমূলের তরফ থেকে অনাস্থা আনা হয়। মঙ্গলবার কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় সাংবাদিক বৈঠক করে অনাস্থায় অংশগ্রহণকারী ৮ জন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ও ব্লক সভাপতিকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানান। উপস্থিত ছিলেন সিতাই বিধানসভা এলাকার বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়াও।
জগদীশবাবু বলেন, দলের নির্দেশ অমান্য করে দলীয় ব্লক নেতৃত্বের অঙ্গুলিহেলনে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসে তা পাস করিয়েছেন। দল তাঁদের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয় না। সেই কারণেই রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে এই আটজন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য এবং ব্লক সভাপতি সঞ্জয় বর্মনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের সঙ্গে এদের আর কোনওরকম সম্পর্ক থাকবে না। শুধু তাই নয় সঞ্জয় বর্মনকে ৪৮ ঘণ্টার শোকজ নোটিস করা হয়েছে। আগামী ৭ এপ্রিল তাঁর উত্তরের ভিত্তিতে দল সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবে।
পার্থ প্রতিম রায় জানান, রাজ্য নেতৃত্বের সাথে আলোচনা করেই জেলা নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে অন্যান্য গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির ক্ষেত্রেও উদাহরণ হয়ে থাকবে। দলের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধাচরণ দল কোনও অবস্থাতেই মেনে নেবে না। পাশাপাশি বহিষ্কৃত জেলা পরিষদ সদস্য তথা কর্মাধ্যক্ষ নূর আলম হোসেনের প্রসঙ্গে পার্থ প্রতিম রায় বলেন, "নূর আলম হোসেন ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছেন। আবেদন আমরা রাজ্যস্তরে পাঠিয়েছি। যেহেতু নূর আলম জেলা পরিষদের সদস্য তথা কর্মাধ্যক্ষ সেই কারণেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যাওয়াটাই স্বাভাবিক। পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী তাঁর জনপ্রতিনিধিত্ব আমরা কেড়ে নিতে পারি না। বিষয়টা বিবেচনা সাপেক্ষ এবং তা নিয়ে আলোচনা চলছে।"
আরও পড়ুন, 'আলাদা করা যাবে না', একই ওড়নার ফাঁসে আত্মঘাতী দুই বান্ধবী