নিজস্ব প্রতিবেদন: তিনদিনের কোচবিহার জেলা সফরে বেরিয়েছেন মমতা ব্যানার্জী। আজ, বুধবার কোচবিহারের রাসমেলা মাঠ থেকে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা ব্যানার্জী নানা বিষয় নিয়ে কথা বললেন। নিজের দলের অনৈক্যের সুরের কথা বলে ঐক্য়ের বার্তার কথা বললেন। বিভিন্ন প্রকল্পের কথা বললেন। সময় নিলেন বিজেপির সমালোচনাতেও। এটা প্রত্যাশিতই ছিল। কেননা বাংলায় ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। কিন্তু এর আগে আরও কোনও মঞ্চ থেকে সম্ভবত এত স্পষ্ট করে তিনি নিজের দলের কথা বলেননি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রথমেই অবশ্য তরুণ ছাত্রনেতা নরেন দত্তের (naren dutta)অকালমৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন। তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানান। তারপর তাঁর প্রায় মিনিটচল্লিশের বক্তৃতায় গোটা সময়টা জুড়েই বিভিন্ন প্রসঙ্গে যাতায়াত করেন মমতা (Mamata Banerjee। তবে নিজের দলীয় কর্মীদের দিকে মাঝে-মাঝেই তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা ছুড়ে দিয়েছেন। 


also read: BJP সব সময় অঙ্কা-বঙ্কা-শঙ্কা, আর CPM-Congress কুটুস কুটুস: Coochbehar থেকে Mamata


কথা প্রসঙ্গে মমতা বলেছেন, যাঁরা প্রথম থেকে তৃণমূলে (TMC)আছেন, তাঁরা আজও তাঁর সঙ্গেই আছেন। কিন্তু তারই মধ্যে হয়তো কেউ কেউ বেসুরো গাইছেন। সেই দিকে ইঙ্গিত করে মমতা বলেন, 'কেউ কেউ জোয়ারে আসে ভাটায় চলে যায়; তাতে কিছু যায় আসে না'! এরপরই তিনি সম্ভবত দলত্যাগী বা দলত্যাগ-উন্মুখদের বার্তা দিয়ে বলেন, 'কাপড়জামা বদলানো যায়, আদর্শ বদলানো যায় না'! রাজনৈতিক বিশ্লেষক-মহল কিন্তু এই বার্তাকে শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikary) বা তাঁর অনুগামীবর্গের প্রতি বলেই মনে করছেন, কেননা ইতিমধ্যেই রটে গিয়েছে, অচিরেই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন শুভেন্দু।



সভার একেবারে শেষ দিকে এসে মমতা তাঁর দলীয় কর্মীদের (tmc partymen) উদ্দেশ্যে বলেন, মা-মাটি-মানুষ কখনও বিশ্বাসঘাতকতা করে না, প্রবঞ্চনা-প্রতারণা করতে পারে না। দলের নীচুতলার কর্মীদের তিনি দলের প্রকৃত সম্পদ বলে উল্লেখ করেন। সেই সব কর্মীদের কাছে অনুরোধ করেন, তাঁরা যেন দায়িত্ব নেন। তাঁরা যেন বিজেপির (bjp) গুন্ডামিতে ভয় না পেয়ে রুখে দাঁড়ান। সব চেয়ে বড় কথা, তিনি বলেন, 'নিজেদের বিরুদ্ধে লড়বেন না। বিজেপি ঘর ভাঙলে তাকে সহ্য করবেন না'। বলেন, 'জোট বাঁধুন, তৈরি হোন। 


also read: জলাজমিতে অবৈধ নির্মাণ, Trinamool গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত ভাঙড়


বোঝাই যাচ্ছে, ভোটের (2021 assembly election) দিকে চোখ রেখেই মমতার এ হেন সতর্কতামূলক কথাবার্তা। অনেকেই মনে করছেন, দল হিসেবে তৃণমূল সঙ্কটে পড়েছে, ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে শঙ্কিত। তাই দলনেত্রী হিসেবে তিনি কর্মীদের মনোবল জোগানোর জন্যই এই সব কথা বলেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।